গাদ্দাফির থেকে অর্থ নেয়ায় আটক সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট
সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অর্থ নিয়েছিলেন সারকোজি এমন অভিযোগ ওঠার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হলো।
ফ্রান্সের আদালতের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নির্বাচনী প্রচারণার অর্থায়ন নিয়ে ‘দুর্নীতির’ ঘটনায় সারকোজিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, সারকোজি তার নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে ৫০ মিলিয়ন ইউরো নিয়েছিলেন। গাদ্দাফির ছেলে ও ফরাসি ব্যবসা জিয়াদ তাকিয়েদদিনে সারকোজির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন।
এর মানে দাঁড়াচ্ছে, সারকোজি নির্ধারিত নির্বাচনী খরচ ২১ মিলিয়ন ইউরোর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ অর্থ খরচ করেছিলেন। এছাড়া প্রচারণায় ব্যবহৃত অর্থের উৎস নিয়েও ফরাসি আইন ভঙ্গ করেছেন বলে সারকোজির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সারকোজি ও তার ক্যাম্পেইন ম্যানেজার এ ধরনের অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন।
এদিকে এ সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠার পর এই প্রথমবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন সারকোজি। তবে এই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে।
সারকোজিকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য আটকে রাখা হতে পারে। অন্য একটি মামলায় আগে থেকে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন সারকোজি।
এর আগে ২০১১ সালে গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সারকোজি যে টাকা নিয়েছিলেন তা ফেরত দিতে হবে। আর ফরাসি ব্যবসায়ী তাকিয়েদদিনে দাবি করেছেন, ২০০৬ ও ২০০৭ সালের মধ্যে তিনি টাকা ভর্তি তিনটি সুটকেস সারকোজির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সারকোজি।
সূত্র: স্কাইনিউজ