রাশিয়ার হাতে যুক্তরাষ্ট্রে বিমান হামলার ছক
সোভিয়েত ইউনিয়নের পর এই প্রথম রাশিয়া তার বিশেষ বিমান হামলার কৌশল চর্চা শুরু করে দিয়েছে। উত্তর মেরু হয়ে উত্তর আমেরিকাতে বিমান পাঠানোর সফল মহড়া সম্পন্ন করেছে ক্রেমলিন।
এই মহড়া নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের কাছের যথেষ্ট চাপের কারণ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু বলেছেন, রাশিয়ার সাবমেরিন বিধ্বংসী একটি বিমান উত্তর মেরু হয়ে উত্তর আমেরিকাতে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পেয়েছে। বিমানটি কোন মডেলের এবং ঠিক কোথা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল তা অবশ্য নির্দিষ্ট করে জানাননি তিনি। মেরু এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের নৌ-মহড়া চালানোর সংবাদের পর রাশিয়ার এই সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমানের বিশেষ পথে ফ্লাইটের সফল মহড়ার কথা জানা গেল।
শোইগু আরও জানিয়েছেন, উত্তর মেরুর কাছে থাকা ফ্রাঞ্জ জোসেফ ল্যান্ড ও নোভোসিবির্স্ক দ্বীপে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন স্বয়ংসম্পূর্ণ ‘মিলিটারি ভিলেজ’ তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে উত্তর মেরু এলাকায় সম্প্রতি চালানো ওই নৌ মহড়ার নাম এক্সারসাইজ এইট্টিন (আইসিইএক্স)। মার্কিন নৌবাহিনীর আর্কটিক ল্যাবেরটরির তত্ত্বাবধানে চলা মহড়াটিতে যোগ দিয়েছে ইউএসএস কানেকটিকাট ও ইউএসএস হার্টফোর্ড নামের দুটো সাবমেরিন। তাদের সঙ্গে আছে ব্রিটেনের এইচএমএস ট্রেনচ্যান্ট নামের আরেকটি সাবমেরিন।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে এই প্রথম রাশিয়া মেরু অঞ্চলে ব্যাপক সামরিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। ওই অঞ্চলে মজুদ তেল ও গ্যাসের পরিমাণ সৌদি আরব ও রাশিয়ার চেয়েও বেশি। চলতি বছরের শুরু থেকে উত্তর মেরু অঞ্চলে সামরিক সরবরাহ দ্বিগুণ করয়েছে রাশিয়া।
রুশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উত্তর মেরুর কাছে রাশিয়ার চারটি ঘাঁটি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তর রয়েছে আর্কটিক ট্রেফয়েল ঘাঁটি, যার পরে মানুষের তৈরি আর কোনও স্থায়ী জায়গা নেই।