রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা : ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি
রাশিয়া কর্তৃক নৌবাহিনীর জাহাজ লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে তিন নাবিককে আহতের পাশাপাশি তিনটি জাহাজ জব্দের ঘটনায় দেশে সামরিক আইন জারি করেছে ইউক্রেন।
সোমবার ইউক্রেনের পার্লামেন্ট দেশটিতে ৩০ দিনের এই সামরিক আইন জারি করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো সামরিক আইন জারির প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করেন।
এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ক্রিমিয়ার উপকূলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় সোমবার একটি জরুরি সভা করেছে। গুলি করে তিন নাবিক আহতসহ তিন জাহাজ জব্দের ঘটনাকে ইউক্রেন রাশিয়ার ‘আগ্রাসনের ঘটনা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য দেওয়ার সময় জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি রাশিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আজভ সাগরে রোববার ইউক্রেনের জাহাজ জব্দের ঘটনা ইউক্রেনের আঞ্চলিক সার্বভৌমের ‘ন্যক্কারজনক লঙ্ঘন’।
নিকি হ্যালি রাশিয়ার এই উদ্ধত আচরণকে দোষারোপ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বেআইনি পদক্ষেপ ওয়াশিংটনের সাথে মস্কোর সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে বাধা দিচ্ছে।
রাশিয়ার দাবি, দুটি ছোট যুদ্ধজাহাজসহ তিনি জাহাজ রাশিয়ার জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল।
জাতিসংঘে রাশিয়ার উপপ্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আজভ সাগরে পশ্চিমা সমর্থনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হুমকি সৃষ্টির অভিযোগ আনেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ কখনোই আগে আঘাত করে না। তবে এটি যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম। রাশিয়াসহ ক্রিমিয়ার জনগণ পূর্ণ নিরাপত্তার অধীনের রয়েছে।’
ইউক্রেনের অভিযোগ, তাদের জাহাজ ভুল কিছু করেনি। তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ আনে।
ইউক্রেনের জাহাজ রাশিয়ার জলসীমা অতিক্রম করেছে, রাশিয়ার এমন দাবিকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ অভিহিত করে জাতিসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভোলোদিমির ইয়েলচেঙ্কো সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘রাশিয়ার এমন আচরণ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য স্পষ্ট হুমকি।’