শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 4 July, 2019 02:52

রাশিয়ার পরমাণুবাহী সাবমেরিনে আগুন, ১৪ নাবিকের মৃত্যু

রাশিয়ার পরমাণুবাহী সাবমেরিনে আগুন, ১৪ নাবিকের মৃত্যু
মেইল রিপোর্ট :

রাশিয়ার একটি সাবমেরিনে আগুন লেগে এর ভেতরে থাকা ১৪ নাবিকের মৃত্যু হয়েছে। ওই সাবমেরিনটি রাশিয়ার জলসীমা পরিমাপ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ধোয়ায় দম বন্ধ হয়ে ওইসব নাবিক মারা যান বলে জানাচ্ছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। 

আগুন নেভানোর পর সাবমেরিনটিকে সেভেরোমর্স্কে উত্তরাঞ্চলীয় মূল সামরিক ঘাঁটিতে ফেরত নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।

সাবমেরিনটি পরমাণুবাহী ছিল বলে জানা গেছে। 

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, কিছু তথ্য থাকে যা রাষ্ট্রের জন্য গোপনীয়। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এমন তথ্য যা প্রকাশ করা যায় না।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, সাবমেরিনটি শনাক্ত করা গেছে। এটি এএস১২ সাবমেরিন। এটি পরমাণুবাহী ক্ষমতাসম্পন্ন, যা গভীর সমুদ্রে মিশনে গিয়েছিল। এর বিষয়টি গোপন রাখা হয়। কিন্তু এটি বিশ্বাস করা হয় ৭০ ফিট দীর্ঘ সাবমেরিনটি বৃহৎ মাদারশিপ সাবমেরিনের সঙ্গে যুক্ত।

প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির পুতিন একে রাশিয়ার নৌবাহিনীর জন্য বিরাট এক ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন।

সাবমেরিনে আগুন লেগে নাবিকদের মৃত্যুর পর অন্য সব কর্মসূচি বাতিল করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসেন তার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে। এরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু সেভেরোমর্স্কে। পুতিন বলেছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পদবী হিরো অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন জয়ী সাতজন ক্যাপ্টেন এবং দুইজন সার্ভিস পার্সোনেল।

দুর্ঘটনার মুখে পড়া সাবমেরিনটি ছিল একটি পারমাণবিক মিনি-সাবমেরিন। এটি পারমাণবিক বিদ্যুতের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া একটি এএস-টুয়েলভ মিনি সাবমেরিন।

এ ধরণের সাবমেরিন গভীর সমুদ্রে গবেষণা, গুপ্তচরবৃত্তি এবং বিশেষ অভিযানের কাজে ব্যবহার করা হয়।

এই বিশেষ সাবমেরিন দিয়ে সমুদ্রের নিচে ক্যাবলস ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করা সম্ভব। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছিল, এ ধরণের সাবমেরিন দিয়ে রাশিয়া গুপ্তচরবৃত্তি করা ও মার্কিন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। যদিও রাশিয়া বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

স্টিভ রোজেনবার্গ বলছেন, সাবমেরিন দুর্ঘটনা কেবল রাশিয়াতেই ঘটে তা নয়, কিন্তু রুশ সাবমেরিনে এ ধরণের দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণত বড় ক্ষয়ক্ষতি হয় সব সময়।

২০০০ সালে পারমাণবিক বিদ্যুতচালিত আরেকটি সাবমেরিনে বিস্ফোরণে ১১৮ জন নাবিক নিহত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালেও আরেকটি সাবমেরিন দুর্ঘটনায় ২০জন নাবিক নিহত হয়েছিলেন।

তবে সাবমেরিন দুর্ঘটনার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬৩ সালে, তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ায় ডাইভিং পরীক্ষা চালানোর সময় ১২৯ জন নাবিক নিয়ে ডুবে গিয়েছিল ইউএসএস থ্রেশার। ঐ সাবমেরিনের সব যাত্রী মারা গিয়েছিলেন।

উপরে