টার্কিশ এয়ারে দেশে ফেরা প্রবাসীরা বিপাকে
মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রার্দুভাব শুরু হওয়ার আগে অর্থাৎ মার্চের প্রথম সপ্তাহে যারা টার্কিশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন, তুরস্ক-গ্রিস ‘লড়াইয়ের’ কারণে সবাই এখন আটকে আছেন। বিশ্বে যখন সব দেশের উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে, ঠিক তার বিপরীত মেরুতে তুরস্ক-গ্রিসের বর্তমান অবস্থান।
টার্কিশ এয়ারলাইনসকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) মধ্যরাত পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনা না করতে সিভিল অ্যাভিয়েশনকে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। এতে টার্কিশ এয়ারের ফ্লাইটে গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দেশে ছুটিতে আসা গ্রিস প্রবাসীরা আটকে পড়েছেন।
এর মধ্যে অনেকের (আধিয়া পারামনি বা আধিয়া দিয়ামনি,অর্থাৎ রেসিডেন্ট পারমিটের)মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে তাদের সংকট প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই আবার চাকুরী হারিয়েছেন।
সরকারের নিকট তাদের দাবী তারা বাংলাদেশ বিমানের চ্যার্টার্ড ফ্লাইটে করে গ্রীসে ফিরতে চায়। যদি কোন কারনে তাঁরা ফিরতে না পারে সরকার বিরাট একটি রেমিট্যান্স হারাবে। সাথে সাথে ভেঙ্গে পরবে সেসব পরিবারের আয়ের উৎস এবং দেশে বেকারে হার বৃদ্ধি পাবে।
সুনামগঞ্জের আব্দুর রসিদ গ্রীসের থেসেলোনিকি বানিজ্যিক শহরে থাকতেন করোনার আগে দেশে ছুটিতে গিয়ে চিন্তায় চিন্তায় সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ স্ট্রোক করে মৃত্যুবরন করেন। বি-বাড়ীয়ার নবীনগর উপজেলার সূজন বণিক ২০১৯ নভেম্বরের ১৮ তারিখ দেশে এসে এখনো যেতে পারিননি। তিনি এখন কর্মহীন।
তিনি বলেন, আমিও হয়তো রসিদ ভাইয়ের মতন স্ট্রোক করে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে পারি।
মাদারীপুরের এমদাদ মাতব্বর বলেন আমি ফেব্রুয়ারিতে দেশে এসেছি তুর্কী এয়ারলাইনস টিকেটের তারিখ দেন কিন্তু বিমান আকাশে উড্ডয়ন করেনা অনেক অর্থ সংকট নিজ কন্যাকে দেওয়া গয়না বিক্রি করে এয়ার এমারাটের টিকিট নিয়েছি সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখের।
তুর্কী এয়ারলাইনসে করে দেশে আসা যাত্রীদের এই সংকট দেখার জন্য কি কেউ নেই?এই প্রশ্ন রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের।