ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদ জানালো আয়ারল্যান্ড
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদে আনা একটি সংসদীয় প্রস্তাবে সমর্থন দিলো আইরিশ সরকার। যদি প্রস্তাবটি পাস হয় তাহলে আয়ারল্যান্ডে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং ইসরায়েলের ওপর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
আয়ারল্যান্ডই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ, যারা ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোভেনি বলেছেন, বিরোধী দল সিন ফেইনের আনা প্রস্তাবটি ‘আয়ারল্যান্ড-জুড়ে অনুভূতির গভীরতার সুস্পষ্ট সংকেত’।
ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলিদের বসতি স্থাপন নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি কার্যত আত্মসাৎ’। ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের মুখে ‘আত্মসাৎ’ শব্দের উচ্চারণ এটিই প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল ২৫ মে আইরিশ আইনপ্রণেতাদের অনেকেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা বা চেকার্ড কেফায়া নকশার মাস্ক পরে সংসদে গিয়েছিলেন।
টানা ১১ দিনের লড়াইয়ে নির্বিচার বোমাবর্ষণ করে অন্তত ২৫৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে ৬৬ শিশুও রয়েছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ।
অন্যদিকে দখলদারদের পাল্টা জবাব দিতে ইসরায়েলে ৪ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। এই ঘটনায় বিদেশিসহ অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।