শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কড়া নিরাপত্তায় নয়াদিল্লির বাংলোয় আছেন শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে দাঁতভাঙা জবাব পাবে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র: খামেনি নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 21 October, 2022 00:21

লিজ ট্রাস, ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী

লিজ ট্রাস, ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী
মেইল রিপোর্ট :

ব্রিটিশ মসনদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন লিজ ট্রাস। ক্ষমতা নেওয়ার ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন তিনি।

অথচ গত সেপ্টেম্বরেই কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দলীয় শীর্ষ পদে বসেন তিনি। বরিস জনসন পদত্যাগ করলে হন প্রধানমন্ত্রী।
বিবিসি বলছে, পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী হলেন লিজ ট্রাস। ৪৫ দিনের ক্ষমতায় ‘মিনি-বাজেট’ বিতর্কে পড়েছিলেন তিনি। যদিও তার আশা ছিল নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে দেশের উন্নতি করা।  

লিজ ট্রাসের আগে সবচেয়ে কম সময়ের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছিলেন জর্জ ক্যানিং। ১৯২৭ সালে মাত্র ১১৯ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ক্যানিংকে বলা হতো ব্রিটিশ টোরি রাষ্ট্রনায়ক। কেননা, নিজে ক্ষমতা নেওয়ার আগে বহু প্রধানমন্ত্রীর অধীনে মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন জ্যেষ্ঠ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। দুটি গুরুত্বপূর্ণ মেয়াদে তিনি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব।

খবরে আরও বলা হয়, লিজের ক্ষমতায় সমস্যা সৃষ্টির মূল কারণ তার সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ার্তেং সংক্ষিপ্ত বাজেট উপস্থাপন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর এ ঘোষণার পর শুরু হয় বিতর্ক।  

মিনি-বাজেটে কর কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাজ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। ব্রিটিশ পাউন্ডের দামও কমে যায়। ফলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েন কাওয়াসি কোয়ার্তেং। কিন্তু নিজের গদি রক্ষায় ব্যর্থ হন লিজ। কনজারভেটিভ পার্টির নেতারাই তাকে পদত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি করেন।

পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) আসেন ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে। গিজগিজ করতে থাকা সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি আমার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসকে জানিয়েছি। আমি স্বীকার করছি, যে প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলাম, সেটি দিতে পারছি না। কম ট্যাক্স উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির জন্য আমার সরকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। আমাদের দেশ দীর্ঘদিন ধরে নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির শিকার। পিছিয়ে পড়েছি আমরা। আমি ও আমার দল এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছিল, যা আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।

এ সময় টোরি এমপিদের প্রভাবশালী ১৯২২ কমিটি চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডলির সঙ্গেও দেখা করার কথাও জানান তিনি।

এ ঘোষণার আগে তার সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান। এ সময় পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।

লিজের পদত্যাগের পর আগামী সপ্তাহে নির্বাচন হবে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন লিজ। আইনপ্রণেতারা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন

লিজ ট্রাস রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসনামলের শেষ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাকে নিয়োগ দেওয়ার দুইদিন পরই এলিজাবেথ মারা যান। 

সদ্যই সাবেক প্রধানমন্ত্রী হওয়া লিজ ট্রাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে অর্থনীতিবীদ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি শেল এবং ক্যাবল ওয়্যারসে চাকরি করেন। তিনি ২০০০ সালে হিসাবরক্ষক হিউগ ও’লেরিকে বিয়ে করেন। তাদের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তার পরিবার বাস করেন নরফোকের থেটফোর্ডে।

উপরে