ইতালির ইতিহাসে প্রথম নারী নেতৃত্ব
ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক জর্জিয়া মেলোনি। শনিবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সাথে শপথ নিয়েছেন তিনি। আর এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ডানপন্থী সরকার পেল ইতালি।
জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ব্রাদার্স অব ইতালির প্রধান মেলোনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি নেতৃত্বাধীন ফোরজা ইতালিয়া ও মাত্তেও সালভিনির লিগের সঙ্গে জোট বেঁধে গত মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জয় পান।
ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলার সাথে শনিবার করমর্দনের আগে ৪৫ বছর বয়সী মেলোনি বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার শপথ করছি।
শনিবার শপথগ্রহণের মাধ্যমে চলতি শতকের ১২তম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতালির ৬৮তম সরকারের প্রধান হলেন মেলোনি। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাবেক প্রধান মারিও দ্রাগি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যের প্রশাসনের স্থলাভিষিক্ত হবে মেলোনির সরকার।
তবে দেশটির এই সরকার এই মুহূর্তে কয়েকটি ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে মন্দা, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি দাম এবং ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে একটি ঐক্যফ্রন্ট গঠন অন্যতম।
মেলোনি ইউক্রেনের প্রতি সহায়তার অঙ্গীকার করলেও তার জোট সরকারের সঙ্গী বার্লুসকোনি ভিন্নপথে হাঁটছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কিয়েভকে দায়ী করেন তিনি। একই সঙ্গে তার পুরোনো বন্ধু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ‘উপহার’ এবং ‘চমকপ্রদ চিঠি’ বিনিময় করেছেন বার্লুসকোনি।
রাজনৈতিক উত্তেজনা আর পর্দার আড়ালে দফায় দফায় আলোচনার পর মেলোনি শুক্রবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করেন। এতে নিজ দলের জন্য মন্ত্রিসভার ৯টি পদ সংরক্ষিত রেখে জুনিয়র জোট সঙ্গী লিগ এবং ফোরজা ইতালিয়াকে পাঁচটি করে মন্ত্রণালয় দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট ২৪ সদস্য রয়েছেন; যার মধ্যে মাত্র ৬ জন নারীও জায়গা পেয়েছেন।