সম্পন্নের পথে রাশিয়া-চীন বাণিজ্যে ডি-ডলারাইজেশন
রুশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ম্যাকসিম রেশেতনিকভ বলেছেন, রাশিয়া-চীন বাণিজ্যে ডি-ডলারাইজেশন কার্যক্রম প্রায় শেষ, বেইজিংয়ে-মস্কো বাণিজ্য এখন ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই রুবেল এবং ইউয়ানে সম্পন্ন হচ্ছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বেইজিংয়ে রাশিয়া-চীন এনার্জি বিজনেস ফোরামের সাইড লাইনে রুশ মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, পশ্চিমা মুদ্রা থেকে মস্কো দ্রুত দূরে সরে যাওয়ার ফলে রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যে এখন ৭০ শতাংশই রুবেল এবং ইউয়ানে সম্পন্ন হচ্ছে।
রেশেটনিকভ বলেন, আমাদের বাণিজ্য পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি সামগ্রিকভাবে বাণিজ্য সূচকের দিকে তাকাই, বর্তমানে আমাদের বাণিজ্যের ৬৮ শতাংশ রুবেল এবং ইউয়ানে পরিচালিত হয়, যেখানে চীনের সঙ্গে আমাদের ৯৫ শতাংশ বাণিজ্য রুবেল এবং ইউয়ানে নিষ্পত্তি হয়। পেমেন্ট চ্যানেল সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য তেল ও গ্যাস রপ্তানির মাধ্যমে রাশিয়া যে অর্থ আয় করে, সেই অর্থ আদায়ে দেশটি সুইফটের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু ইউক্রেন আক্রমণের পেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা ‘সুইফট’ থেকে রাশিয়াকে বাদ দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র দেশগুলো।
রুশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যায় ২০২২ সাল থেকে চীনের সঙ্গে রাশিয়ার আমদানি ব্যয় বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে ডলারকে ছাড়িয়ে গেছে ইউয়ান। গত বছর থেকে মঙ্গোলিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান, তাজিকিস্তান সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ান বাণিজ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে ইউয়ান।
পশ্চিমা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পটভূমিতে ‘অবন্ধুসুলভ দেশগুলোর’ মুদ্রায় লেনদেন থেকে রাশিয়ার সরে আসার প্রচেষ্টা এখন স্পষ্টত দৃশ্যমান।
রেশেতনিকভ বলেন রাশিয়া-চীন বাণিজ্য ২০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অতিক্রম করে এই বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ২২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।