শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ২০২৪ সালে হতাহত ৪ লাখ ৩০ হাজার রুশ সেনা, দাবি ইউক্রেনের নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 19 July, 2019 19:29

কলম্বিয়ার ‘রংধনু’ নদী

কলম্বিয়ার ‘রংধনু’ নদী
মেইল ডেস্ক :

হঠাৎ দেখে মনে হবে যেন রংধনু গলে বয়ে চলেছে। ৬২.১ মাইল দীর্ঘ নদীর কোথাও টানা হলুদ রঙ, কোথাও লাল, কোথাও সবুজ, কোথাও নীল, আবার কোথাওবা কালো। নদীর অসাধারণ এই রূপ চোখে পড়বে কলম্বিয়ার ম্যাকারেনা ন্যাশনাল পার্কে। 

সেখানে নজরকাড়া এই নদী ‘রিভার অব ফাইভ কালার্স’ বা ‘গলে পড়া রংধনু’ নামেই খ্যাত।

কিন্তু কেন এই নদীর পানির এমন ভিন্ন ভিন্ন রঙ? আসলে পানি নিচের সামুদ্রিক গাছগুলোর ফুলের সমাহারের কারণেই নদীর এই রঙিন রূপ। গাছগুলো যখন ফুলে ফুলে ভরে ওঠে, তখন নদীর রঙ উপচে পড়ে। আর সেই কারণেই, এই সৌন্দর্য উপভোগ করার আদর্শ সময় জুন থেকে নভেম্বর মাসে, যখন আবহাওয়া খুব বেশি গরমও নয়, ঠান্ডাও নয়।

বর্ষার সময় নদীতে পানি বেড়ে যায়, বাড়ে স্রোতও। আর সূর্যালোক নদীর তলদেশের গাছ অবধি পৌঁছায় না, ফলে ফুলও তেমন ফোটে না। আর অতিরিক্ত গরমে নদীর পানি এতোই কমে যায়, গাছগুলো পর্যাপ্ত পানি পায় না। ফলে জুন থেকে নভেম্বর মাসেই এই ন্যাশনাল পার্কে ভিড় জমান পর্যটকরা।

যত দিন যাচ্ছে, পর্যটকদের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আর তাতেই ভীত হচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভয়, যত বেশি পর্যটক বাড়বে, জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তত বেশি। তবে কলম্বিয়ার পর্যটন বোর্ড এই নদী বাঁচাতে তৎপর। তারা পর্যটকের সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে। দিনে দুইশোর বেশি পর্যটক ওই নদী দেখতে যেতে পারবেন না। সেটিও একসঙ্গে সর্বোচ্চ সাতজন করে যেতে পারবেন।

এদিকে নদীর একাংশে পর্যটকদের সাঁতার কাটার সুযোগ রয়েছে। তবে সানস্ক্রিন লোশন বা কোনও ধরনের কীটনাশক স্প্রে লাগিয়ে নদীতে নামা যাবে না। স্পর্শকাতর এই গাছগুলো রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলেই নেতিয়ে পড়ে। সেগুলোকে বাঁচাতেই এতো কড়া নিয়ম-নীতি।

উপরে