শিরোনাম
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ রাষ্ট্র সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রে রাশিয়ায় হামলা করল ইউক্রেন কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 11 September, 2019 20:25

পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা

পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
মেইল রিপোর্ট :

যুক্তরাজ্যে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর কর্মসংস্থানের জন্য দেশটিতে আরো দুই বছর থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। এই ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ হোম অফিস।

এর ফলে ২০১২ সালে দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে'র নেয়া সিদ্ধান্তকে পাল্টে দেয়া হচ্ছে। মে নিয়ম করেছিলেন যে, স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর বিদেশি শিক্ষার্থীরা চার মাসের বেশি ব্রিটেনে অবস্থান করতে পারবেন না।

নতুন নিয়ম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, নতুন পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের নিজেদের সক্ষমতা বুঝতে এবং যুক্তরাজ্যে নিজেদের পেশা গড়ে নিতে সহায়ক হবে।

সেসব শিক্ষার্থীরা আগামী বছর থেকে যুক্তরাজ্যে স্নাতক পর্যায়ে কিংবা তার থেকে উঁচু কোন ডিগ্রির জন্য পড়াশুনা শুরু করবেন তারা এই পরিবর্তিত নিয়মের সুযোগ পাবেন।

কিন্তু শর্ত হচ্ছে, তারা চাইলেই যে কোনো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবেননা। শুধুমাত্র সেইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ পাবেন, যাদের ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে অভিবাসন সংক্রান্ত নিয়মকানুন যথাযথভাবে মেনে চলার ইতিহাস রয়েছে

ব্রিটিশ সরকার এমন সময়ে এই ঘোষণা দিলো যখন একই দিনে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি জেনেটিক প্রকল্প চালু করা হলো। এই প্রকল্পটি শুরু হচ্ছে ইউকে বায়োব্যাংক নামে একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক দাতব্য সংস্থার অধীনে, যাদের কাছে অন্তত ৫ লাখ মানুষের জেনেটিক তথ্য ও নমুনা রয়েছে।

এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি পাটেল বলেন, এই সিদ্ধান্ত সরকারের ‘বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি’র প্রকাশ।

আর বিবিসির মার্ক ইস্টন বলেন, ‘অভিবাসন নিয়ে সরকারের নতুন কোন পদক্ষেপের প্রমাণ যদি চান, তাহলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দুই বছর থাকতে দেয়ার এই সিদ্ধান্তই সেই প্রমাণ। যেখানে থেরেসা মে অভিবাসন নীতি নিয়ে একটি বৈরী পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন, যার লক্ষ্য ছিলো মোট অভিবাসনের পরিমাণ কমিয়ে আনা, সেখানে বরিস জনসন সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে বুদ্ধিদীপ্ত এবং সেরাদেরকে বৈশ্বিক ব্রিটেনে এসে বাস করতে উৎসাহী করছেন।’

ইউনিভার্সিটিজ ইউকে'র প্রধান নির্বাহী অ্যালেস্টার জারভিস-ও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে লাভবান করবে এবং উচ্চশিক্ষার জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাজ্যের সুনাম ফিরিয়ে আনবে।

তবে মাইগ্রেশন ওয়াচের চেয়ারম্যান আলপ মেহমেট বলেন, এই সিদ্ধান্ত ‘অপরিণামদর্শী’। কেননা তিনি মনে করছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে স্নাতক ডিগ্রিধারী বহু বিদেশি শিক্ষার্থী ব্রিটেনে থেকে যাবে।

উপরে