শিরোনাম
আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন বন্ধ ঘোষণা ডলার নিয়ে ভারত-চীন-রাশিয়াকে কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত ইউক্রেনকে জার্মানির ৬৮৫ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর দ. কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 23 February, 2018 18:08

রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আলঝেইমার শনাক্ত

রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আলঝেইমার শনাক্ত
মেইল ডেস্ক :

আলঝেইমার রোগের পূর্ব লক্ষণ শনাক্ত করার জন্য অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে একটি রক্ত পরীক্ষা চালু করেছে।

গত বুধবার ‘ন্যাচার’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায়, এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে কোনোরকম শারীরিক ক্ষতি না করেই রক্তে এমিলয়েড বেটা নামে একটি বিষাক্ত প্রোটিন ৯০ শতাংশ নিখুঁতভাবে শনাক্ত করতে পেরেছে। এই প্রোটিনটি আলঝেইমার আক্রান্তদের শরীরে সাধারণত দেখা যায়। 

এই অস্বাভাবিক প্রোটিনটি আলঝেইমার রোগের অন্যতম একটি লক্ষণ ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের জন্য দায়ী।

জাপানের ১২১ জন এবং অস্ট্রেলিয়ার ২৫২ জন রোগীর উপর গবেষণা দলটি এই পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রাথমিক স্টেজ থেকে অ্যাডভান্সড স্টেজের আলঝেইমার আক্রান্ত বিভিন্ন রোগীদের উপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীদের রক্তের নমুনা থেকে বিষাক্ত প্রোটিনটি শনাক্ত করা হয় এবং সেটা থেকে ব্রেইনে কতটুকু থাকে সেটা অনুমান করা হয়।

গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক কলিন মাস্টার্স বলেন, এই পরীক্ষাটি পূর্বের সব রক্ত পরীক্ষা এবং ব্রেইন স্ক্যানকে ছাড়িয়ে গেছে।

কিন্তু গবেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, পরীক্ষাটি এখনো ক্লিনিক্যালি ব্যবহার করার উপযোগী হয়নি। পরীক্ষাটি শুধু জাপানের একটি গবেষণাগারে করা হয়েছে এবং এটাকে অন্যান্য গবেষণাগারে স্থানান্তর করা ও ট্রায়ালের উপযোগী করার জন্য আরও বছরখানেক লেগে যেতে পারে।

গবেষণা দলটি আলঝেইমার রোগের পূর্বলক্ষণ বোঝার জন্য এইধরনের আরও অনেক গবেষণা হওয়া উচিত বলে মনে করেন।
আলঝেইমার সোসাইটি ইউকে’র পলিসি ও রিসার্চ অফিসার ডাগ ব্রাউন বলেন, এই পরীক্ষাটি সর্বস্তরে কীভাবে কাজ করে সেটা আমরা এখনও পর্যবেক্ষণ করছি। যদি সেটা করা সম্ভব হয় তাহলে প্রাথমিক স্টেজের আলঝেইমার্স রোগীদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে তাদের সাহায্য করা সম্ভব হবে।

আরও অনেক গবেষণা দলই আলঝেইমার রোগকে শনাক্ত করার জন্য একই ধরনের পরীক্ষা চালানোর চেষ্টা করেছিল। ২০১৭ সালে করা এক গবেষণা ৮৬ শতাংশ নিখুঁতও বলে ধরা হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যের আলঝেইমার সোসাইটির মতে, ডিমেনশিয়ার পূর্বলক্ষণ বোঝার কোনও সত্যিকারের পরীক্ষা এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। আলঝেইমার রোগের পূর্বলক্ষণ একজন মানুষের মধ্যে রোগ হওয়ার এমনকি ৩০ বছর আগেও দেখা দিতে পারে। এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। তবে আগে আগে বোঝা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে এটাকে তরান্বিত করা যায়।

অপরদিকে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ওল্ড এজ সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক রব হাওয়ার্ড গবেষণা দলের যুক্তি খণ্ডন করে বলেন, মস্তিষ্কে এমিলয়েড থাকলেই যে সবার ডিমেনশিয়া হবে এরকম কোনো প্রমাণ নেই।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত ৫০ লাখ রোগীর চিকিৎসার পেছনে শুধু ২০১৭ সালেই খরচ হয়েছে ২৫৯ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্যের ৫ লাখ ২০ হাজার রোগীর পেছনে খরচ গেছে ২৬ দশমিক তিন বিলিয়ন ইউরো।


তথ্যসূত্র: সিএনএন।

 

 

নিউইয়র্ক মেইল/অস্ট্রেলিয়া/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এইচএম

উপরে