শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার রাসায়নিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বোমা হামলায় নিহত ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ভূমিকম্পে ভানুয়াতুতে নিহত বেড়ে ১৪ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 24 February, 2018 01:32

হার্ট অ্যাটাকের আগাম খবর দেবে সফটওয়্যার!

হার্ট অ্যাটাকের আগাম খবর দেবে সফটওয়্যার!
লাইফস্টাইল ডেস্ক :

এবার হার্ট অ্যাটাকের আগাম খবর দেবে সফটওয়্যার! বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন দপ্তর এরকম একটি সফটওয়্যারের অনুমোদন দিয়েছে, যেটি হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসের হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া সম্পর্কে আগাম সতর্ক বার্তা দিতে পারবে।
ধরুন, কয়েকঘণ্টা পর আপনার হার্টঅ্যাটাক হতে যাচ্ছে, সেটা অনেকক্ষণ আগেই আপনার ডাক্তারকে জানিয়ে দেয়া হলো। সেটা দেখে চিকিৎসকরা প্রতিরোধ করার জন্য আগাম ব্যবস্থা নেয়া শুরু করলো। শুনতে সায়েন্স ফিকশন মুভির মতো মনে হলেও এটাই এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
প্রাথমিক অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল এই ব্যবস্থা চালু করেছে। আপাতত সফটওয়্যারটি শুধুমাত্র নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ব্যবহার করা সম্ভব। তবে সফটওয়ারের নির্মাতারা সবার উপযোগী করে এটি বানানোর চেষ্টা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেল মেডিকেল সার্ভিসের বানানো ‘ওয়েব ক্লিনিকাল প্ল্যাটফরম’নামক এই সফটওয়্যারটি আসলে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা একজন রোগীর শারীরিক লক্ষণ যাচাই বাচাই করে হার্টঅ্যাটাকের শিকার হওয়ার অন্তত ছয় ঘণ্টা আগে সংকেত দিতে পারে। ফলে চিকিৎসক ও সেবিকারা অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক ল্যান্স বার্টন জানান, রোগীদের নজরদারিতে রাখা হলেও চিকিৎসক বা নার্সরা তখনি সেবা দিতে পারেন, যখন কেউ ভয়াবহ কোন ঘটনার শিকার হন। আগে তাদের সেটি বুঝতে পারা সম্ভব নয়।’
এই সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য  আলাদা বিশেষ কোন যন্ত্রপাতির প্রয়োজন পড়ে না। হাসপাতালে প্রচলিত নজরদারি ব্যবস্থাগুলো ব্যবহার করেই নতুন এই প্রযুক্তি কাজ করবে। ভিসেনশিয়া সেফটি ইনডেক্স নামক একটি এলগারিদমের মাধ্যমে এটি কাজ করবে। এই এলগারিদম  রোগীর বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাই এবং শারীরিক অবস্থা, ধরন পর্যালোচনা করবে, যা মানুষের সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না। সফটওয়্যারটি হার্ট বিট, ফুসফুসের শ্বাস নেয়ার ধরন, রক্তের চাপ, শরীরের তাপমাত্রা আর অক্সিজেনের মাত্রা যাচাই করবে। এসব তথ্য স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের ফোন, ট্যাবলেট ও কম্পিউটারে দেখতে পারবেন। ফলে দূরে থেকে ও রোগীর উপর নজরদারি করা সম্ভব হবে।
এই ওয়েব সফটওয়্যার নির্মাতারা এটি ব্যবহার করে চলতি বছরেই আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু ঠেকানোর পরিকল্পনা করেছেন। হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসের বাইরে অন্যান্য রোগও যাতে এটির মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়, সেই চেষ্টাও করছেন নির্মাতারা।
তবে এর মাধ্যমে সব রোগীকেই যে বাঁচানো যাবে, সেই আশা করছেন না বিজ্ঞানীরা। তারা এখন শুধুমাত্র সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে চাইছেন।

 

 

নিউইয়র্ক মেইল/ঢাকা/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এইচএম

উপরে