মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করুন মাত্র ৫টি উপায়ে
আমরা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত এবং কার্যক্ষেত্রে নানান রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করি। সফলতা পাবার পথ যেন শেষই হতে চায় না। সারাক্ষণই যেন আমাদের শক্তি আর সামর্থ্যের পরীক্ষা চলতে থাকে। তবে আশার বিষয়, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা আমরা চাইলে বাড়াতে পারি। প্রতিদিন কিছু কাজের চর্চা দিনে দিনে আমাদের মস্তিষ্ককে উন্নত করে, আমাদেরকে করে আরও ব্যক্তিত্ববান।
আসুন জেনে নিই, কী কী কাজ আমাদের ব্রেইন পাওয়ার বাড়িয়ে আমাদেরকে একজন অনন্য মানুষে পরিণত করে-
বই পড়ুন
যত জানবেন তত আপনার বুদ্ধি শাণিত হবে। জানার জন্য পড়ুন। নিজেকে আনন্দ দিতে পড়ুন। যা আপনার ভাল লাগে তাই পড়ুন। শুধু বই নয়, পড়তে পারেন পত্রিকা, ম্যাগাজিন। গোয়েন্দা গল্প পড়ুন। ভ্রমণের গল্প পড়ুন। বই এমন একটি জিনিস যা আপনাকে আনন্দ তো দেবেই একই সাথে বাড়াবে বুদ্ধি।
ব্যায়াম করুন
শরীরচর্চা বা ব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। মানসিক এবং শারীরিক উভয় স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে ব্যায়াম। তবে কাজ শুরু করার আগে যদি স্বল্প সময়ের ছোট একটি ব্যায়াম করে নেন তাহলে সেটি আপনার ব্রেইনপাওয়ারকে বাড়াবে বহুগুণে। তাই একটা ১০/১৫ মিনিটের ছোট্ট ব্যায়াম বেছে নিন। রোজ আপনার কাজ শুরুর আগে এই সময়টুকু দিন নিজেকে। আপনার মস্তিষ্ক পরবর্তী ৮ ঘন্টার কাজ করবে খুব নিখুঁতভাবে এবং দ্রুত।
ধ্যান
ধ্যান মস্তিষ্ককে দেয় শান্তি। সকল প্রকার স্ট্রেস থেকে নিজেক মুক্ত রাখতে চাইলে নিয়মিত ধ্যানের বিকল্প নেই। তবে ধ্যান আছে বিভিন্ন ধরনের এবং আপনি ঠিক করতে পারেন ধ্যানের মাধ্যমে আপনি কি অর্জন করতে চান বা আপনার টার্গেট কী! গবেষণায় দেখা গেছে, ধ্যান আপনার মনোযোগ বাড়ায়, উদ্বিগ্নতা কমায় এবং সর্বোপরি মানসিক বিপুল পরিবর্তন ঘটায়। এতে কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়।
ক্লাসিকাল মিউজিক শুনুন
মজার্ট এবং বিটোভেনের শান্তিময় সঙ্গীতকে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ানো এবং রিল্যাক্স করার জন্য কার্যকরি মনে করা হয়। একটি গবেষণায় দেখা যায়, 'মজার্ট ইফেক্ট' মানুষের চিন্তাশক্তিকে আরও গভীর করে, বিমূর্ত ভাবনাকে সংগঠিত করে। সকালবেলা আপনি যখন তৈরি হচ্ছেন তখন এই মিউজিক শুনতে থাকুন। দেখা গেছে, এই অভ্যাস কথা বলার দক্ষতা এবং কাজে ফোকাস করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
যুক্তিভিত্তিক কোন খেলা খেলুন
দাবা খেলা বা এজাতীয় খেলা যা আপনার মস্তিষ্ককে কাজ করতে সাহায্য করে তার চর্চা করুন নিয়মিত। এতে আপনার বুদ্ধির বিকাশ হবে, মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে। নির্দিষ্ট বিষয়ে ফোকাস করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।