ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে শহীদ মিনারে। মঙ্গলবার রাতে একুশের প্রথম প্রহরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুজনই সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। এরপর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা জানানোর পর ১২টা ১৮ মিনিটে সর্বসাধরণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় শহীদ মিনার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে নিয়েও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। পরে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বাংলা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ইউজিসি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর আগে মধ্যরাতে শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘিরে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। শ্রদ্ধা নিবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রভাত ফেরিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্যরা। সকাল সোয়া ৭টার দিকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীরা।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্থা অমরে একুশে হলসহ, বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন বিভাগের পপক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। বেসরকারি অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়, এনসিটিবি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি শ্রদ্ধা জানায়।
শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর লক্ষ্যে শহীদ মিনারের পশ্চিম পাশের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে পলাশী পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি হৃদয় নিংরানো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের লক্ষ্যে শহীদ মিনারের দিকে ধীরলয়ে এগিয়ে আসছে। এতে শামিল হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।