সৌদি আরবের ইতিহাসে এই প্রথম বিনোদন খাতে ২৪০ বিলিয়ন রিয়াল (৬৪বিলিয়ন ডলার) ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপেরা হাউস তৈরী করবে সৌদি আরব। এরই মধ্যে ১৭ হাজার নারী পুরুষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে এ খাতে।
২০১৮ সালের পরিকল্পনা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের জাতীয় বিনোদন অথরিটির প্রধান আহমেদ আকিব আল-খাতিব বলেন, আগামী ১০ বছরে ৬৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে বিনোদন খাতে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সরকারি ও বেসরকারি, উভয় খাত থেকেই আসবে।
আহমেদ খতিব বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটকরা যেন সৌদি বিনোদন ক্ষেত্রগুলোতে অংশ নিতে পারে। ২০১৭ সালের মধ্যে ১৭ হাজার নারী পুরুষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগামীতে ২ লক্ষ ২৪ হাজার সৌদি নাগরিককে নিয়োগ দেয়া হবে।
অথরিটি জানিয়েছে, ২০১৮ সালে দেশজুড়ে পঞ্চাশটি শহরে পাঁচ হাজারেরও বেশি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। বৈচিত্রময় কর্মশালার মধ্যে রয়েছে শৈল্পিক, সাংস্কিৃতিক, মিউজিক, বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষা, পারিবারিক, যুবক ও শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন।
এরই মধ্যে রাজধানী রিয়াদে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের ধাঁচে একটি অপেরা হাউস নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে।
আহমেদ খাতিব আরও বলেন, ২০২০ সালের মধ্যেই আপনারা দেখতে পাবেন সৌদি আরবে সত্যিকারের পরিবর্তন ঘটে গেছে।
উল্লেখ্য, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান যে ‘ভিশন-২০৩০’ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন, তার আওতায় এর মধ্যেই সে দেশে সিনেমা হল চালু হয়েছে, আয়োজন করা হচ্ছে কনসার্টেরও। কিছুদিন আগে বিভিন্ন কমিকসের জনপ্রিয় চরিত্রগুলোকে নিয়ে সৌদিতে একটি কমিক-কন সাংস্কৃতিক উৎসবেরও আয়োজন করা হয়েছিল।
তাছাড়া সম্প্রতি সৌদিতে যে জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে, তাতেও এই প্রথমবারের মতো নারী-পুরুষ উভয়েই অংশ নিয়েছিলেন। রাজপথে ইলেকট্রনিক মিউজিকের তালে তালে সৌদির ছেলে-মেয়েরা সেদিন একসাথে নেচেছিলেন, যে দৃশ্য সেখানে আগে কখনও দেখা যায়নি।
সূত্র : আল-আরাবিয়া, আল-জাজিরা
নিউইয়র্ক মেইল/সৌদি আরব/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এইচএম