নির্যাতনের কারণে ইন্দোনেশীয় এক নারী গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে মালয়েশিয়ায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে শ্রমিক পাঠানো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন কুয়ালালামপুরে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রুশদি কিরানা।
মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বেশি অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরা কাজ করছেন। জাকার্তা পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, রুশদি মালয়েশিয়ায় গৃহশ্রমিক পাঠানো বন্ধ করার জন্য বলেছেন। এছাড়া দেশটিতে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়াটি পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে।
রুশদি বলেন, অভিবাসী শ্রমিক পাঠানো প্রক্রিয়াটি পুনরায় মূল্যায়ন করার জন্য এই বন্ধ করাটা জরুরি ছিল। আবারো যেন গৃহকর্মী এডেইলিনার মতো কাউকে মৃত্যুবরণ করতে না হয় সেজন্যে এই পদক্ষেপ জরুরি।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২১ বছর বয়সী ইন্দোনেশীয় গৃহকর্মী এডেইলিনা লিসাও গৃহকর্তার নির্যাতনের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। অভিবাসী শ্রমিকদের রক্ষায় কাজ করা একটি সংগঠন যখন এডেইলিনাকে উদ্ধার করে তখন তার হাত এবং পায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
এছাড়া তার মাথা এবং মুখমণ্ডলেও ক্ষত দেখা যায়। এডেইলিনার শরীরের বিভিন্ন অংশ আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
জাকার্তা পোস্টের ওই প্রতিবেদককে রুশদি আরো বলেন, গৃহকর্মীদের নির্যাতনের ঘটনায় দুটি দেশের মধ্যকার সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আর যেন এডেইলিনার মতো কারো ভাগ্যে এমনটা না ঘটে সেজন্য দুই দেশের সর্ম্পক পুনস্থাপনের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো গতবছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি নাজিব তুন রাজাকের সঙ্গে বৈঠকেও গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধের বিষয়ে কথা বলেছিলেন।
এর আগে ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ান গৃহকর্মী নির্মালার গাঁয়ে গরম পানি ঢেলে এবং গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তার গৃহকর্তা। অভিযুক্ত গৃহকর্তা ইম পেক হা এখন সেই মামলায় ১২ বছরের জেল খাটছেন।
এছাড়াও ২০১০ ও ২০১৬ সালে দুইবার ইন্দোনেশিয়ান গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০০৯ সালে গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল ইন্দোনেশিয়া।
নিউইয়র্ক মেইল/মালেশিয়া/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এইচএম