রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির জেনারেলদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের অত্যাচার, নির্যাতনের ঘটনায় নতুন করে মিয়ানমার জেনারেলদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি বা তাদের সম্পদ জব্দের পদক্ষেপ নেয়া হলে তা হবে মিয়ানমারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা অনেক আগেই মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
নব্বইয়ের দশক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনও জারি রয়েছে। কীভাবে তা আরও জোরদার করা যায় সে বিষয়ে সোমবার মোঘেরিনি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র দপ্তরকে আহ্বান জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
আগামী সোমবার ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের স্বাভাবিক বৈঠকের পর এ বিষয়ে একটি বিবৃতি আসতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে ওই বিবৃতিতেই মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ডিসেম্বরের ১২ তারিখে গ্রেপ্তার হওয়া রয়টার্সের দুই সাংবাদিকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন তৈরির জন্য কাজ করছিলেন ওই দুই সাংবাদিক। রাখাইনের স্থানীয় বৌদ্ধ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে গণকবরে মাটি চাপা দেয়।
কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের কোন কোন জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হতে পারে সে বিষয়ে এখনও আলোচনা হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স
নিউইয়র্ক মেইল/ইইউ/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এইচএম