logo
আপডেট : 27 February, 2018 12:32
পর্যটকদের আগ্রহের অন্যতম স্থান অনিন্দ্য সৌন্দর্যের দেশ থাইল্যান্ড
মেইল ট্রাভেল ডেস্ক

পর্যটকদের আগ্রহের অন্যতম স্থান অনিন্দ্য সৌন্দর্যের দেশ থাইল্যান্ড

অবসর সময়ে কোনো স্থান ভ্রমণের কথা উঠলে সবার আগে যেসব দেশের নাম আসে, তাদের মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। ছবির মতো এদেশটি যেন নানারকম নিসর্গ আর সমুদ্র আদরে ঘেরা।

 

দেশটির আনাচে-কোনাচে ছড়িয়ে আছে প্রাচীণ নির্দশন, ঐতিহাসিক স্থানসহ বিভিন্ন আকর্ষনীয় স্পট। ব্যাংকক আধুনিক শহর হলেও অনেক রাজা এই শহরে রাজকীয় ধাঁচের অজস্র্র প্রাসাদোপম অট্টালিকা গড়ে তুলেছেন। ওখানকার পরিবেশ ও খাবার বেশ ভালো। ওখানে গেলেই আপনার মন প্রশান্তিতে ভরে যাবে; নিজেকে বেশ সুখী মনে হবে। অন্তত একবার বেড়িয়ে আসুন থাইল্যান্ড।

 

ওয়াত ফ্রা কেইও (এমারেল্ড বুদ্ধের মন্দির): এমারেল্ড বুদ্ধের মন্দির হিসেবেও পরিচিত ওয়াত ফ্রা কেইও নিঃসন্দেহে ব্যাংককের সবচেয়ে অন্যতম পবিত্র স্থান। এটি বললেও ভুল হবে না যে, ওয়াত ফ্রা কেইও পরিদর্শন ব্যতীত ব্যাংকক সফর অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এটিতে ২ ফুট উচ্চতার একটি গাঢ় সবুজ বর্ণের বুদ্ধের মূর্তি রয়েছে।

প্রচলিত কাহিনী অনুসারে, চিয়াং রাইয়ের একটি স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে একসময় এমারেল্ড বুদ্ধকে একটি উপলেপণের মধ্যে আবৃত করে রাখা হয়েছিল, যা ১৪৩৪ সালে তীব্র বজ্রপাতের প্রভাবে উন্মোচিত হয়ে পড়ে। তখন থেকে অন্য রাজারা এটিকে তাদের দেশে স্থানান্তরের চেষ্টা করেছিলেন। বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানোর পর অবশেষে এই মূর্তিটি ওয়াত ফ্রা কেইওতে স্থায়ী হয়।

রাজা প্রথম রামা এমারেল্ড বুদ্ধের মূর্তিটিকে মন্দিরস্থ করার তাগিদে ওয়াত ফ্রা কেইও’র নির্মাণ করেছিলেন। বিভিন্ন ঋতু পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এমারেল্ড বুদ্ধের মূর্তিটিকে ঋতুভিত্তিক পোশাক-পরিচ্ছদে আবৃত করা হয়, যা বছরে তিনবার পরিবর্তন করা হয়। গ্রীষ্মকালে মূর্তিটিকে মুকুট এবং মণিরত্ম দিয়ে সুশোভিত করা হয়, শীতকালে এটিকে একটি সুবর্ণ শাল দ্বারা আবৃত করা হয় এবং বর্ষা মৌসুমে আপনি লক্ষ করবেন এমারেল্ড বুদ্ধ মূর্তিটি স্বর্ণমণ্ডিত পোশাক ও পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় রয়েছে।

 

ওয়াত ফো: ব্যাংককে ওয়াত ফো, ভগবান বুদ্ধের একটি বিশাল মূর্তির আবাসস্থলের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। এটি প্রায় ২০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল এবং সারা বছর ধরে বিপুলসংখ্যক আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করে। তবে রাজা প্রথম রামা দ্বারা এই মন্দিরটি পুনর্গঠনের পরে ওয়াত ফোর, মূল কাঠামোর সাথে তার সদৃশ হারিয়েছে। এই রাজকীয় মঠটি ২০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে।

ফ্রা ফুট্টাহ সৈয়ত নামের এই মূর্তিটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৪৬ মিটার এবং উচ্চতায় ১৫ মিটার। এই বুদ্ধ মূর্তিটির নেত্র ও চরণযুগল মুক্তো দিয়ে তৈরি। ওয়াত ফো মন্দিরের ক্ষেত্রে এক হাজারটি বুদ্ধের চিত্র প্রদর্শিত রয়েছে। ছেতুফন রোড এই ক্ষেত্রটিকে দুভাগে বিভক্ত করেছে। একটি অংশ আবাসিক সভাকক্ষের দিকে বর্ধিত হয়েছে এবং অন্যটি প্রার্থনাগৃহের দিকে এগিয়ে গেছে।

সাধারণত সবচেয়ে শ্রেয় দর্শনীয় বিভাগ হল উত্তরের দিকটি এবং এখানে একটি বড় মন্দির সভা রয়েছে। এটা বুদ্ধের ব্রোঞ্জ মূর্তির একটি শৃঙ্খলা দ্বারা বেষ্টিত। এর সাথে আবার এই সভাগৃহের বাইরে ১৫২টি মার্বেল ফলক আছে। এই ফলকগুলোতে প্রধানত মহাকাব্য রামাকিয়েনের কাহিনী বর্ণিত আছে।

 

ওয়াত অরুণ : ব্যাংককের ওয়াত অরুণ, ভোরের মন্দির হিসেবেও পরিচিত। ওয়াত অরুণ, রাজা তৃতীয় রামার সময়কালে পূর্ণতা পায়। মন্দিরটি তার কৃতিত্বের স্তম্ভগুলোর জন্যও সুপরিচিত, যেটি ক্ষমের শৈলীতে নির্মিত হয়েছিল।

ওয়াত অরুণ মন্দিরটির নাম ভারতীয় ঈশ্বর অরুণের নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যার অর্থ হল ভোরের দেবতা। এটি ব্যাংককের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। পর্যটকরা সূর্যাস্তের সময় মন্দিরটির শ্রেষ্ঠ দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।

থোনবুড়ি নদীর সম্মুখ থেকে ওয়াত অরুণের দৃশ্য একটি মহিমান্বিত দৃশ্য। নদীর অন্য পাড়ে নির্মিত এক রেস্তোরাঁয় বসে রাতের খাবার খাওয়ার সময়, ওয়াত অরুণের একটি দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। ওয়াত অরুণের পারিপার্শ্বিক বাতাবরণ খুবই নির্মল ও শান্তিপূর্ণ। একটি দূরত্ব থেকে ভগবান বুদ্ধের প্রতিরূপ এক চমৎকার দৃশ্য। এটি মনে করা হয় যে, প্রধান ব্দ্ধু মূর্তিটি দ্বিতীয় রামা নিজে নকশায়িত করেছিলেন।

ওয়াত অরুণ, মাউন্ট মেরুর একটি স্থাপত্য উপস্থাপনা হিসেবে নকশায়িত করা হয়েছে। এছাড়াও এটি মাভেন দ্বারা অন্বেষিত একাগ্রতার প্রতিনিধিত্ব করে। ৭৯ মিটার উঁচু চারটি ছোট কীর্তিগুলো সিরামিক টাইলস এবং বহু রঙের চীনামাটি ভগ্নাংশের সাথে সুশোভিত রয়েছে। বাইরের কীর্তিটিতে পবন দেবতা, ফ্রা ফাইয়ের মূর্তি প্রদর্শিত রয়েছে। মূর্তিগুলোর সম্ভারও মোজাইক সজ্জার সঙ্গে প্রাচুর্যপূর্ণ রয়েছে। চিত্তাকর্ষক পৌরাণিক বা কাল্পনিক দৈত্যরা মন্দির ভবনটির প্রবেশদ্বারে সতর্ক পাহারা দিচ্ছে।

দেয়ালগুলোতে রাজকুমার সিদ্ধার্থের মৃত্যু, জন্ম, ব্যাধি, বৃদ্ধ বয়স ও অসুস্থতার দৃষ্টান্ত বর্ণিত আছে। দ্বিতীয় রামার অস্থিভস্ম বুদ্ধ মূর্তিটির ভিতে সমাহিত করা হয়।

 

দ্য গ্র্যান্ড প্যালেস: গ্র্যান্ড প্যালেস বা মহীয়ান প্রাসাদটি হল ব্যাংকক সফরের পরিকল্পনাকারী পর্যটকদের জন্য এক অবশ্য-দর্শনমূলক গন্তব্যস্থল। প্রাসাদটি চারটি প্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত আছে। এটি অনেক মঠ, দুর্গ এবং মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণকারী রাজা রামা ১-এর দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। তিনি থাইল্যান্ডের শাসক হয়ে ওঠার সময়ে তার প্রশাসনিক কেন্দ্র থোনবুড়ি থেকে ব্যাংককে স্থানান্তরিত করে নেন। তার আবাসন ভবন ছাড়াও রামা ১ তার কার্যালয় ভবন গড়ে তোলার জন্যও এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন।

পরবর্তীকালে এই গৌরবমণ্ডিত স্থাপত্যবিষয়ক স্মৃতিস্তম্ভটি গ্র্যান্ড প্যালেস বা মহীয়ান প্রাসাদ নামে অভিহিত করা হয়েছিল। এই গ্র্যান্ড প্যালেসটির মধ্যে প্রায় ৩৫টি আকর্ষণ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল- গ্র্যান্ড প্যালেসের প্রাঙ্গণের মধ্যে অবস্থিত ওয়াত ফ্রা শি রাট্টানা সাতসাদারাম বা ওয়াত কায়েও বা চ্যাপেল রয়্যাল বা এমারেল্ড বুদ্ধ। মন্দিরের প্রধান ভবনটি একটি পান্না সবুজ বর্ণের বুদ্ধের মূর্তির কেন্দ্রীয় গৃহস্থল।

এমারেল্ড বুদ্ধ মন্দিরের মিউজিয়ামটি ফ্রা থিনাঙ্গ মহাপ্রসাত গ্রুপের বিপরীতে অবস্থিত। মিউজিয়ামের একতলায় বিভিন্ন শিল্পকর্মের চিত্রপ্রদর্শনী রয়েছে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সভাগৃহটি সাদা হাতির অস্থির প্রদর্শন করা হয়। এই হাতিগুলোর গোলাপী রঙের কোমল চোখ ছিল। এগুলো রাজপদের এক অপরিহার্য প্রতীক ছিল ও তাদের সম্পদশালীনতা রাজার খ্যাতিকে প্রভাবিত করেছিল; যার যতো সাদা হাতি তার ততো প্রতিপত্তি।

রাজ্যাভিষেকের পটমন্ডপ, রাজকীয় অলঙ্করণ ও মুদ্রা জাদুঘরে- মুদ্রা, রাজপোশাক, অলঙ্কারাদি, রাজদরবারে ব্যবহৃত রাজকীয় অলঙ্করণ প্রদর্শিত হয়। ফ্রা থিনাঙ্গ আমারিন উইনিটচাই মাহাইসূর্য ফিমান হল এই ভবনটির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইমারত। এই থাই শৈলীর সিংহাসন সভাগৃহটি বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সাথে বৈঠকের জন্য নির্মিত হয়েছিল।

গ্র্যান্ড প্যালেস ভবনের আরো কিছু আগ্রহদীপ্ত পরিদর্শনমূলক স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজ পরিবারের দপ্তর, সালা লুক খুন নাই, সালা সাহাথাই সামাখোম, সিওয়ালাই বাগিচা, হো শাস্ত্রখোম, হো সুলালাই ফিমান এবং হো ফ্রা দেট মোন্তিয়েন।

 

শিয়াম ওসেন ওয়ার্ল্ড: সামুদ্রিক প্রাসঙ্গিকতাযুক্ত ওয়ান্ডারল্যান্ড বা বিস্ময়কর জগতের সামুদ্রিক জীবন সম্পর্কে এক অনাবিষ্কৃত কৌতূহল এবং আপনার জ্ঞান বিস্তৃত করার একটি সুযোগ গ্রহণ করুন। শিয়াম ওসেন ওয়ার্ল্ড- বর্তমানে যা সী লাইফ ব্যাংকক ওশান ওয়ার্ল্ড নামে পরিচিত। পপআপ ট্যাংকে ৩০ হাজার মাছ, বিভিন্ন সামুদ্রিক গাছপালা ও জীবজন্তু হামাগুড়ি দিয়ে চলা জলাধার, গুপ্ত রহস্যময় গুহা ট্যাংক, ৮ মিটার উঁচু দানবাকৃতির অ্যাকোরিয়ামের দৃশ্য, জলমগ্ন সুড়ঙ্গ, মনুষ্য-সৃষ্ট জাহাজের ধ্বংসাবশেষ, বরফে রোমাঞ্চিত অঞ্চল ও আরো অনেক কিছু।

সমন্বিত সী লাইফ ব্যাংকক ওশান ওয়ার্ল্ড হল থাইল্যান্ডের ব্যাংককের এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় অত্যাধুনিক আকর্ষণ। এই সামুদ্রিক স্বর্গোদ্যানটি আপনাকে ব্যাপক বৈচিত্র্যময় প্রজাতির সামুদ্রিক জীবজন্তুর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ প্রদান করে; যেমন কৃত্রিমভাবে তৈরি প্রাকৃতিক আবাসস্থলে হাঙ্গর থেকে পেঙ্গুইন, কালো ছোপযুক্ত মোরে ঈল থেকে ঈগল, মুন জেলি থেকে উল্ফ ফিশ।

 

ফি ফি দ্বীপপুঞ্জ: ফি ফি আইল্যান্ড- স্কুবা ডাইভিংয়ের গন্ত্যবস্থলের জন্য জনপ্রিয়। থাইল্যান্ডের ফি ফি দ্বীপপুঞ্জ, ফুকেতের দ্বীপ এবং মলাক্কার পশ্চিম প্রণালীর মাঝখানে অবস্থিত। এই সমষ্টিগত দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বৃহত্তম দ্বীপটি কোহ ফি ফি ডন হিসেবে পরিচিত। ফি ফি দ্বীপপুঞ্জগুলো তাদের নান্দনিক বা শিল্পসম্মত সৌন্দর্যের জন্য অতি পরিচিত এবং প্রতি বছর বিশালসংখ্যক পর্যটকদের দ্বারা এটি পরিদর্শিত হয়। জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা দ্বারা দ্বীপটির সমুদ্রসৈকত এবং স্বচ্ছ জলোচ্ছ্বাস সংরক্ষিত হয়। বর্তমানে সামুদ্রিক বিনোদনমূলক কার্যক্রম স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য কোহ ফি ফি হল বিশ্বের এক অন্যতম প্রসিদ্ধ গন্তব্যস্থল।

পাটোং সৈকত পাটোং সৈকত সূর্য, বালি, সমুদ্র এবং প্রলোভনসঙ্কুল রাত্রির একটি সম্মোহনী মিশ্রণ। থাইল্যান্ডের ফুকেত দ্বীপের পশ্চিম উপকূলবর্তী এক জনপিয় অবকাশ যাপনের গন্তব্যস্থল, পাটোং সৈকতে সারা বিশ্বব্যাপী পৃষ্ঠপোষক রয়েছে। অতি উন্নত এই সৈকত রিসোর্ট শহরটিতে প্রায় ২ মাইল দীর্ঘ বিস্তৃত সাদা বালুকাময় সমুদ্রসৈকত ও সন্নিহিত প্রচুর রেস্তোরাঁ, হোটেল ও বা রয়েছে। এ ছাড়াও পাটোংয়ে বেশকিছু শ্রেষ্ঠ নিশি-সরণি আছে, যেগুলো তাদের নিবেদিত অগোছালো অভিলাষার জন্য দারুণ পরিচিত- যেমন প্যারাডাইস কমপ্লেক্স ও বাংলা রোড। বর্তমান কিছু বছরে শহরটিতে একটি বৃহৎ শপিংমল (জাংসেইলন) এবং প্রচুর দোকান যুক্ত হয়েছে; যেগুলোতে পোশাক, আনুষঙ্গিক সামগ্রী ও হস্তশিল্প বিক্রি হয়।

 

জায়ান্ট স্যুইং (শাও চিং ছা): জায়ান্ট স্যুইং, ব্যাংককের এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপভোগ্য ধর্মীয় স্থান। এছাড়াও জায়ান্ট স্যুইং, শাও চিং ছা নামেও পরিচিত। ওয়াট সুটহাট মন্দিরের সামনে অবস্থিত স্যুইং ভ্রমণার্থীদের চমৎকার দৃশ্য নিবেদন করে। এই মহীয়ান স্মৃতিস্তম্ভটি রাজা প্রথম রামার আদেশানুসারে ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল।

এই বিস্ময়কর স্যুইং বা দোলনাটি ব্যাংককের চিরস্থায়ী পরাক্রমের এক নিদর্শনরূপে রাজকীয়ভাবে বুমরাংমূয়েং রোডে দাঁড়িয়ে আছে। আপনি যদি কখনো ব্যাংকক সফরে যান, এটি দেখতে ভুলে যাবেন না। এখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলো সুখোথাই রাজ্যে থাই চন্দ্রবৎ পঞ্জিকার প্রত্যেক মাসে অনুষ্ঠিত ১২টি রাজকীয় অনুষ্ঠানের এক অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়।

কিংবদন্তি অনুযায়ী, দ্বিতীয় লুনার বা চন্দ্র মাসে যাজকগোষ্ঠী বা ব্রাহ্মণরা বিশ্বাস করেন যে, ভগবান শিব দশদিন বসবাসের জন্য এই পৃথিবীতে অবতরণ করেন। সুতরাং অত্যুত্তম ক্রিয়াকলাপের সমারোহে মহীয়ান অনুষ্ঠানের দ্বারা তাকে স্বাগত জানানো উচিত। এক ১৫ মিটার লম্বা বাঁশের আকশিতে এক ব্যাগ স্বর্ণ মুদ্রা ঝুলিয়ে নিয়ে দুর্দান্ত মল্লবিদরা উঁচু ধনুকাকার দোলনায় আন্দোলিত হতে থাকেন। এই অনুষ্ঠানে অনেক মৃত্যু দেখেছে। সপ্তম রামা তার রাজত্বকালে (রাজা প্রজাধিপক; ১৯২৫-৩৫) ব্রাহ্মণদের বিনাশকারী অপচয় শক্তি লক্ষ করেন এবং এই ঝুলন্ত অনুষ্ঠানটির ওপর ক্ষান্তি বা প্রতিরোধ লাগিয়ে দেন।

আরেক কিংবদন্তির মতে, যখন প্রভু ব্রহ্মা পৃথিবী সৃষ্টি করেন, তখন সেটিকে দেখাশোনা করার জন্য প্রভু শিবকে এখানে পাঠান। শিবের সাপগুলো এই স্থানে পৃথিবীতে থাকার জন্য পর্বত গাত্রে নিজেদের ঘিরে রাখে। যখন শিব সন্তুষ্ট হন যে পৃথিবী দৃঢ়, তখন সাপগুলো সমুদ্রে চলে যায়। ঝুলন্ত অনুষ্ঠানটি হল এই কিংবদন্তির পুনর্বিধিবদ্ধকরণ। এটি কথিত আছে যে, স্যুইং বা দোলনাটির স্তম্ভ দুটি সমুদ্রের উভয় পাশে বেষ্টিত পর্বতগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। অন্যদিকে দোলনাটির বৃত্তাকার বুনিয়াদটি পৃথিবী ও সমুদ্র উভয়েরই প্রতিনিধিত্ব করে।

 

কোথায় থাকবেন: শহরজুড়ে আপনার রাতযাপনের জন্য রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য হোটেল। বিমানবন্দর থেকেই হোটেলের নাম-ঠিকানা, খরচাপাতির ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে পারবেন।

 

কীভাবে বেড়াবেন: সাধারণ সিটি বাস থেকে শুরু করে এসি বাস, ট্রেন, ট্রাম, ট্যাক্সি সবই পাবেন হাতের নাগালে। এছাড়া রয়েছে অটোরিকশাও। তাছাড়া মোটরবাইক ভাড়া করেও ঘুরতে পারেন ইচ্ছে হলে।

 

শপিং করতে: আপনার শপিং সুবিধা দেয়ার জন্য এখানে রয়েছে অজস্র মল। তন্মধ্যে এমবিকে, সিয়াম প্যারাগন, সেন্ট্রাল ওয়ার্ল্ড, প্যানথিম প্লাজা, আইটি মল ইত্যাদি।

 

খাওয়া-দাওয়া: খাদ্যপ্রেমীদের কাছে ব্যাংকক মানেই স্বর্গ। চাইনিজ এবং থাই খাবারের সামাহার সর্বত্র। এছাড়া খাঁটি বাঙালি খাবারও পাওয়া যায় দেদার।

 

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

 

 

 

 

নিউইয়র্ক মেইল/থাইল্যান্ড/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এইচএম