বাংলাদেশে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক অর্থায়ন করতে প্রস্তুত আছে। জানালেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট তাকিহিকো নাকাও।
বুধবার আগারগাঁও এডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এডিবি প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করে যাচ্ছে এডিবি। প্রতিশ্রুত ঋণ-সহায়তার বাইরে অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে সরকার চাইলে যে কোনো বড় প্রকল্পে এডিবি অর্থ দিতে প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার এক বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী দ্বিতীয় পদ্মা সেতুতে আমাদের অর্থায়ন করতে বলেছেন। আমরা সেখানে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত আছি। সরকার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিলে অবশ্যই আমরা সেটা বিবেচনা করবো।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে।
সেই কাজ শেষ হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পদ্মার পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এসময় এডিবির প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ৬ লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ তাদের অস্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ দিয়েছে এবং মানবিক সহায়তা ভালোভাবে মোকাবেলা করছে। এটার জন্য দেশটি প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার।
তিনি বলেন, এই সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ এখনও কোনো প্রস্তাব দেয়নি। প্রস্তাব দেয়া হলে বাংলাদেশকে সহায়তা দিবে এডিবি।
তাকিহিকো নাকাও বলেন, এডিবি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তা করে আসছে। বিশেষ করে গ্যাস-বিদ্যুৎ, পরিবহন ও নগরউন্নয়ন খাতে। এখন বাংলাদেশ চাইলে বড় মেগা প্রকল্পেও সহায়তা করা হবে। তবে বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে বিনিয়োগের পরিবেশ আরো ভালো করতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এডিবি বাংলাদেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায় থেকে ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল শিক্ষায় বিনিয়োগ করে যাবে। যাতে করে অধিক পরিমাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় নারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এডিবি'র মহাপরিচালক(দক্ষিণ এশীয়) হুন কিম, এডিবি সভাপতির প্রধান উপদেষ্টা ইয়োচিরো ইকিদা, বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ প্রমুখ।
নিউইয়র্ক মেইল/বাংলাদেশ/১ মার্চ ২০১৮/এইচএম