অধিদপ্তরের কেউ যদি অবৈধ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকেন, প্রমাণিত হলে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। তাদের চাকরি থাকবে না। বললেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কোনো এলাকায় মাদকের অভিযান চালানো শেষ করে ফিরে এলে জানতে পারি সেখানে আবার মাদক বিক্রি শুরু হয়েছে।
মহাপরিচালকের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান, অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী মাদকসেবন ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কী করছেন?
জামাল উদ্দীন বলেন, মাদক দ্রব্য সেবনের কোনো অভিযোগ এলে এবং তদন্তে তা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের চাকরি থাকবে না। এ ব্যাপারে সব সময়ই কঠোর ভূমিকা থাকবে।
তিনি বলেন, ধারণা করা হয়, দেশে মোট মাদকসেবীর সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে ৭০ লাখ হবে। যদিও সে সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
অনুষ্ঠানে জামাল উদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, ‘জীবনকে ভালবাসুন, মাদক থেকে দূরে থাকুন’ শীর্ষক স্লোগানে বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) থেকে সারাদেশে মাদকবিরোধী ‘তথ্য অভিযান’ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জনসতেনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রাণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘বৃহস্পতিবার থেকে মাদববিরোধী তথ্য অভিযান শুরু করা হয়েছে। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে সব গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে। ‘জীবনকে ভালবাসুন মাদক থেকে দূরে থাকুন’ স্লোগানটি চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর প্রচার করবে।’
জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্কুল-কলেজে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিদিন এক মিনিট করে হলেও মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরা হবে।
মাদকের সরবরাহ কমানোর জন্য বিক্রেতাদের পাকড়াও করতে অভিযান চালানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর অভিযানে ১২ হাজার ৬৫১ জন মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার হয়েছে। মামলা হয়েছে ১১ হাজার ৬১২টি।
তিনি বলেন, তথ্যের ভিত্তিতে কোনো এক এলাকায় মাদকের অভিযান চালানো শেষ করে ফিরে এলে জানতে পারি সেখানে আবার মাদক বিক্রি শুরু হয়েছে। তাই এদের নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
নিউইয়র্ক মেইল/বাংলাদেশ/১ মার্চ ২০১৮/এইচএম