মিয়ানমার নেত্রী অং সান সু চি ও দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লিয়াংয়কে কারাদণ্ড দিয়েছে তেহরানের প্রতীকী গণআদালত।
বুধবার তেহরানের ইমাম সাদেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গণআদালত বসে। এতে ইরান ও বাংলাদেশের অনেক মুসলিম মানবাধিকারকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা বিচারকদের কাছে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও জাতিগত নিধনের বর্ণনা দেন।
বিচারে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারকরা সু চির ১৫ বছর ও হ্লিয়াংয়ের ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এতে মিয়ানমারের পক্ষে দুইজন ইরানি আইনজীবী নিয়োগ পান।তারা মিয়ানমারের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।
প্রতীকী আদালতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর নানা নির্যাতন, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক করা, নিষ্ঠুরতা ও অমানবিক নানা কার্যক্রমের বর্ণনা করা হয়।
আদালতে উপস্থাপিত বিভিন্ন তথ্যে দেখা যায়, মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনে বহু রোহিঙ্গাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। এছাড়া ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে শরণার্থী হিসেবে পালিয়ে যেতে হয়েছে।
গত ২৫শে অগাস্ট থেকে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর চরম নির্যাতনের মুখে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসে।
জাতিসংঘের হিসেবে পুরনো ও নতুন মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
নিউইয়র্ক মেইল/মিয়ানমার/২ মার্চ ২০১৮/এইচএম