ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে ফেসবুক, অ্যাপল বা গুগলের মতো নিরাপদ নয় হোয়াটসঅ্যাপ। যে কোন মুহূর্তে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। বেশ কিছুদিন আগেই হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে আপডেট করা হয়। চালু হয় এণ্ড টু এণ্ড এনক্রিপশন পদ্ধতি। বলা হল হোয়াটসঅ্যাপকে সুরক্ষিত করতে ও ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপদ রাখতে এই ব্যবস্থা চালু করেছিল তারা। কিন্তু সংস্থাটির সমীক্ষা বলছে, এই পদ্ধতি মোটেও নিরাপদ নয়।
হোয়াটসঅ্যাপ এখন একশো কোটিরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছেন। তাদের তথ্যের সুরক্ষার দায়িত্ব অবশ্যই সেই সংস্থার। কিন্তু গাফিলতি থেকে যাচ্ছে সেই কাজেই। ফলে সরকারের রক্তচক্ষু যেকোনও মুহূর্তে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যের উপর পড়তে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে আপনাকেই।
কারণ হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলা হয়নি। কোনও তৃতীয় পক্ষের হাতে আপনার তথ্য চলে যাবে না, সে বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা যেমন দিচ্ছে না, তেমনই এই সব তথ্য সুরক্ষিত থাকবে না, সেকথাও হলফ করে বলছে না। তাই ভয় কিন্তু একটা থেকেই যাচ্ছে।
তাই যে কোনও সময়ে নজরদারি চলতেই পারে আপনার তথ্যের ওপর। আর সেই তথ্য ভুল ক্ষেত্রে, ভুলভাবে ব্যবহৃত হওয়ারও আশঙ্কা থাকছে। তাই গ্রাহকদের তথ্য যাতে সুরক্ষিত তাকে, তার ব্যবস্থা করতে হবে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকেই।
গ্রাহকদের সুযোগ সুবিধা মাথায় রেখে ২৬টি কোম্পানি বিভিন্ন সুরক্ষা পদ্ধতি ও নিয়ম চালু করেছে, তাদের পাঁচটি বিভাগে ভাগ করে সম্মান জানিয়েছে ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন। ৯টি কোম্পানি প্রতিটি বিভাগে এই পুরস্কার পেয়েছে। সেগুলি হল অ্যাডোব, ক্রেডো, ড্রপবক্স, সোনিক, উবের, উইকারের মতো সংস্থা।
কিন্তু আমাজন ও হোয়াটসঅ্যাপ এই বিষয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। ফাইভ স্টার পাওয়ার তালিকায় এদের নাম অনেক পিছনে। দুই তারার তালিকায় আপাতত জায়গা করতে পেরেছে এরা। তাই তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ কতটা ভরসার, তা কিন্তু ঠিক করতে হবে আপনাকেই।