পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম হিন্দু নারী হিসেবে সিনেট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কৃষ্ণা কুমারী। শনিবার পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি সিন্ধু প্রদেশে সিনেটের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত হন।
কৃষ্ণা কুমারী বলেন, আমি খুব আনন্দিত। নির্যাতনের শিকার মানুষের অধিকারের লড়াই চালিয়ে যাবো।
বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে তিনি কাজ করবেন।
৩৯ বছরের কৃষ্ণাকে বাবা-মা আদর করে ‘কিশু বাই’ বলে ডাকেন। কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে তাকে ছেলেবেলা পার করতে হয়েছে। কৃষ্ণা তার এই সফলতা মা-বাবাকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষা গ্রহণে বাবা-মাই তাকে উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের কারণে তিনি পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ১৬ বছর বয়সে তিনি সিন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লালচাঁদকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি পড়ালেখা চালিয়ে যান। সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে এমএ করেন। ২০০৫ সালে তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
সূত্র: ডন।
নিউইয়র্ক মেইল/পাকিস্তান/৪ মার্চ ২০১৮/এইচএম