লয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন সরকারের নেতাকর্মীদের চীনা বংশোদ্ভূত ধনকুবের রবার্ট কুওক’কে উদ্দেশ্য করে বলা আক্রমনাত্মক ও অপমানমূলক কথাবার্তা বর্তমানে দেশটিতে আগামী আগস্টে অনুষ্ঠিতব্য সাধারন নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান জাতিগত ও ধর্মীয় বিভেদকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন দল ইউএমএনও’র নেতারা হংকং ভিত্তিক মালয়েশিয়ার বিলিওনেয়ার কুওক’কে গত দুই সপ্তাহ ধরে লক্ষবস্তু করে রেখেছে। তারা তার ওপর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাযিব রাজাক’কে উৎক্ষাতে চীনা সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী দলীয় দলে অর্থায়নের অভিযোগ এনেছে।
তবে মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি কুয়েক দেশটির একটি ওয়েবসাইটের ওপর গণতন্ত্রের প্রতি তার প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর অভিযোগ এনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার হুমকি দেওয়ার পর তার ওপর করা আক্রমন সমূহ্ বন্ধ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী রাজাকও পরিস্থিতী শান্ত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মালয়েশিয়ায় অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধশালী চীনা কমিউনিটির বেশ কিছু ব্যক্তিরাও কুওকে’র বিরুদ্ধে সরকারী নেতাদের এই সমালোচনাকে আসন্ন প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে।
নাযিব সরকারের জোটের কৌশলগত যোগাযোগ পরিচালক ও দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুল রহমান দাহলান হুশিয়ারী জানিয়ে বলেছেন, জাতিগত বিভেদ ছড়াতে থাকলে হয়তো আসন্ন নির্বাচনে জাতিগত সংখ্যালঘুরা পরাজিত হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে আমরা অবশ্যই খুশি হবো, তবে নির্বাচনে সব জাতি-গোষ্ঠীর সমর্থণ পেলে সবার সিদ্ধান্ত ও মতামতের সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটবে।
সূত্র: ইয়ন নিউজ
নিউইয়র্ক মেইল/মালয়েশিয়া/১০ মার্চ ২০১৮/এইচএম