logo
আপডেট : 21 March, 2018 01:48
সাইবার নিরাপত্তা: সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় মাইক্রোসফট
ঢাকা অফিস

সাইবার নিরাপত্তা: সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় মাইক্রোসফট

সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করা মাইক্রোসফটে লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির।

মাইক্রোসফট বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) সম্প্রতি সাইবার নিরাপত্তা ও ট্রাস্টেড টেকনোলজি নিয়ে একটি সেমিনার আয়োজন করেছে। এই সেমিনারেই বিশেষ অতিথি সোনিয়া ওই লক্ষ্যের কথা বলেন।  

মাইক্রোসফট বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, তথ্য ও প্রয়োজনীয় কৌশল গ্রহণ করে ক্রিটিকাল ইনফরমেশন সিস্টেম ও অবকাঠামো সুরক্ষিত করা এবং দেশের ম্যালওয়্যার ও ডিজিটাল ঝুঁকি কমানোর মাধ্যমে সরকারি সংস্থার ক্ষমতায়নে মাইক্রোসফটের রূপকল্পের অংশ হিসেবে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সাইবার অপরাধের ক্ষেত্র এবং ট্রাস্টেড ও সিকিওর টেকনোলজি কীভাবে সরকারকে তথ্য সুরক্ষায় সহায়তা করতে পারে এমন বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সোনিয়ার সঙ্গে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পার্থ প্রতিম দেব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল-এর পরিচালক তারিক এম বারকাত উল্লাহ।

সেমিনারে তিনটি বিষয়ের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এগুলো হচ্ছে- সাইবার নিরাপত্তা ও ট্রাস্টেড টেকনোলজি, সফটওয়্যার অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও সাইবার নিরাপত্তা সম্পৃক্ততা - সাইবার সুরক্ষার অবকাঠামোয় সফটওয়্যার ডেপ্লয়মেন্ট, ব্যবহার ও লাইসেন্সিং মডেল এবং তৃতীয়টি, সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশনা ও ডিজিটাল বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সর্বোত্তম অনুশীলন।       

সোনিয়া বলেন, “বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী সরকার ও সংস্থাগুলো আগের চেয়েও গুরুত্ব সহকারে সাইবার নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছে। ডিজিটালকরণের দিকে যাত্রার পাশাপাশি সরকার সাইবার নিরাপত্তার ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তথ্য ও প্রযুক্তি সুরক্ষার ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাইক্রোসফটের লক্ষ্য সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করা এবং দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালনে বিশ্বস্ত ও নিরাপদ কম্পিউটার ব্যবহারের পরিবেশ তৈরি করা।”