২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফেসবুকের প্রায় ৫ কোটি গ্রাহকের তথ্য বেহাত হয়ে যায়। এই তথ্য সে নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ী হওয়ায় ভূমিকা রাখে। তারপর থেকেই জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর আঙুল তোলা হয়েছে।
এবার এল সরাসরি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল ফেসবুক।
ওই অ্যাপের মাধ্যমেই কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। এসব তথ্য পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য কেলেঙ্কারির এ ঘটনায় নড়েচড়ে উঠেছে পুরো প্রযুক্তি জগৎ।
ভুলটা ফেসবুকের হলেও শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র পরিসরের সফটওয়্যার ডেভেলপার সবাইকেই যে এ ভুলের খেসারত দিতে হবে। গ্রাহকের তথ্য কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এর ওপর তদন্তে নামছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনপ্রণেতারা। এর ফলে আসা নতুন নীতিমালা প্রভাব ফেলবে প্রায় সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর।
গুগল, মাইক্রোসফট, টুইটার, উবার বা লিংকড-ইনের মতো অসংখ্য ব্যবহারকারীর তথ্য রয়েছে এমন সব প্রতিষ্ঠানকেই নতুন এ নিরাপত্তা তদন্তের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। এ ধরনের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তৃতীয় পক্ষের কাছে ব্যবহারকারীর তথ্য হাতবদল করে থাকে। তবে সেটা কতটা ন্যায়সংগত, সেটাই খতিয়ে দেখবেন আইনপ্রণেতারা।
ব্যবহারকারীর তথ্যের সহজলভ্যতার ওপরও নতুন নীতিমালা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর নতুন কোনো অভিযোগ থেকে দূরে থাকতে গুগল ও টুইটারের মতো অনেকেই আগ থেকেই ব্যবহারকারীর তথ্যের ওপর নিরাপত্তা বাড়াতে কাজে লেগে পড়েছে।