
মিয়ানমারের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন দেশটির নিম্নকক্ষের সাবেক স্পিকার উইন মিন্ট। এ উপলক্ষে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শুক্রবার তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছে।
মিয়ানমারে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ তিনটি। তার মধ্যে একটি খালি ছিল। নিুকক্ষে সু চির দল এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে উইন মিন্টকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। মূলত তিনিই প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ইউ টিন কিয়াউ। তিনি সু চির অনুগত ছিলেন। একইভাবে নতুন প্রেসিডেন্টও নামমাত্র প্রেসিডেন্ট থাকবেন। মূলত নির্বাহী ক্ষমতা সু চির হাতেই থাকবে।
২০১৬ সালে এনএলডি ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্টেট কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সু চি।
৬৬ বছর বয়সী মিয়ানমারের হবু প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এনএলডির একজন বিশ্বস্ত ও প্রভাবশালী সদস্য। রাজনীতিক হিসেবে তিনি জেলও খেটেছেন। ১৯৯০ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে তিনি একজন সফল প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু সে নির্বাচন সামরিক জান্তা বাতিল ঘোষণা করে।
শুক্রবার ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উইন মিন্ট মিলিটারি নিয়ন্ত্রিত ইউনাইটেড সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির প্রার্থী থাং অয়েকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইউ টিন কিয়াওয়ের পদত্যাগের পরই তিনি নিুকক্ষের স্পিকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার স্থলে নিুকক্ষের স্পিকার হয়েছেন টি খুন মিয়াট।
মিয়ানমারের সংবিধান অনুসারে, কোনো প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হলে বা অবসরে গেলে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা পাবেন। এরপর নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টের মধ্য থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে।
সেনাবাহিনীর সাবেক জেনারেল মুইন্ট সয়ে এখন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট। ফলে তিনিই এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে দেশটির পার্লামেন্ট নতুন প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেবে। পদত্যাগী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সম্পর্ক ভালো ছিল। নতুন প্রেসিডেন্টের জন্যও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাই হবে প্রধান চ্যালেঞ্জ।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট পদত্যাগের পর সু চি’র জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বিশ্বস্ত ও অনুগত একজন প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব দেয়া। সে উদ্দেশ্যই মূলত সফল হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় বিশ্বব্যাপী সুচির জনপ্রিয়তা কমে গেলেও মিয়ানমারে তিনি এখনো বেশ প্রভাবশালী।