বিশ্বের সবচেয়ে নিরামিষভোজী দেশ বাংলাদেশ বলে টেলিগ্রাফের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ২৬ মার্চ প্রকাশ করা এই প্রতিবেদনে মাংস বেশি ও কম গ্রহণ করা দেশগুলোর তালিকা উঠে আসে।
টেলিগ্রাফের সমীক্ষায় উঠে আসে, বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যক্তি বছরে ৪ কেজি মাংস গ্রহণ করে। এরপরই আছে ভারত (৪.৪ কেজি), বুরুন্ডি(৫.২ কেজি) ও শ্রীলংকা (৬.৩ কেজি)। মাংস কম খাওয়া দেশগুলোর তালিকায় সেরা দশ এ এরপরই আছে রুয়ান্ডা, সিয়েরা লিওন, ইরিত্রিয়া, মোজাম্বিক, গাম্বিয়া ও মালাওই।
এই সমীক্ষায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের একজন অধিবাসী বছরে ১২০.২ কিলো মাংস গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় স্থানে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত (১১৯.২)। এরপর অস্ট্রেলিয়া ( ১১১.৫), বাহমা (১০৯.৫), লুক্সেমবার্গ (১০৭.৯), নিউজিল্যান্ড (১০৬.৪), অস্ট্রিয়া (১০২), ফ্রান্স পোলেনেশিয়া (১০১.৯), বারমুডা ( ১০১.৭) এবং আর্জেন্টিনা (৯৮.৩)।
সমীক্ষায় দেখা যায়, মাংসভোজী দেশগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ নাগরিকই স্থুলতায় ভুগছেন। স্থুলতায় ভোগা দেশগুলোর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ১২তম, কুয়েত ৯ম, বাহামা ১০ম, নিউজিল্যান্ড ২৪তম ও অস্ট্রেলিয়া ২৬তম। অন্যদিকে স্থুলতামুক্ত থাকা দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। টেলিগ্রাফ জানায়, মাংস কম গ্রহণ করা বাংলাদেশের মানুষের স্থুলতামুক্ত থাকার অন্যতম কারণ।
একনজরে বাংলাদেশের আরো কিছু বিষয়:
১. মৃত্যুদন্ড বহাল থাকা বিশ্বের ৫৮টি দেশের একটি দেশ বাংলাদেশ।
২. বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সার্ফিং এসোসিয়েশনে যোগ দেয়।
৩. বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ ও বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠির এই দেশটি এখন পর্যন্ত অলিম্পিক মেডেল পায় নি।
৪. ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ও ঘনবসতিপূর্ণ শহর।
৫. সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এটি মাত্র ৮.৫ মিটার উচুঁ। যা বিশ্বের ১০টি দেশের মধ্যে অন্যতম।
৬. অধিক জনসংখ্যা, দূষণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের হুমকির মুখে থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বের সুখী দেশগুলোর একটি।