আগামী শনিবার চীনা স্পেসল্যাব ‘তিয়ানগন-১’ পৃথিবীতে ফিরতে পারে বলে মনে করছেন মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা।
পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশের সময় স্পেসল্যাবটিতে আগুন লেগে যাবে এবং জ্বলতে জ্বলতে পৃথিবীতে প্রবেশ করবে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইসা জানিয়েছে শনিবার এবং রোববারের মাঝামাঝি সময়ে স্পেসল্যাবটি পৃথিবীতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এদিকে চীনের মহাকাশ গবেশনা সংস্থা স্পেসল্যাবের পৃথিবীতে প্রবেশের সম্ভাব্য সময়সীমা এগিয়ে এনেছে। তারা আগে ৪ এপ্রিল সম্ভাব্য সময়সীমা বললেও এখন বলছে আগামী ১ থেকে ২ এপ্রিল পৃথিবীতে প্রবেশ করতে পারে তিয়ানগন-১।
বৃহস্পতিবারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চীনের তৈরী প্রথম এই স্পেসল্যাবটি ভূপৃষ্ঠের ১২২ মাইল উপর দিয়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছিল। এই ঘটনাকে চীনের জন্য অপমানজনক মনে করা হলেও চীন এ ধরণের প্রকল্প থেকে সরে আসেনি। ২০১৬ সালে দেশটি তিয়ানগন-২ স্পেসল্যাবকে সফলতার সাথে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রেরন করে।
অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর রেডিও অ্যাস্ট্রোনমি রিসার্চ এর টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মার্কাস ডলেনস্কি জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা তিয়ানগন অবতরনের সময় বড় রকমের আগুনের গোলা দেখতে পাবেন। সেসময় আকাশ মেঘমুক্ত থাকবে।
তবে এই ঘটনায় কোন হতাহত হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তিয়ানগন-১ স্পেসল্যাবটির দৈর্ঘ্য ১২ মিটার এবং এর ব্যাসার্ধ্য ৩.৩ মিটার। এর ভর ৮.৫ টন।
২০১৩ সালে এই ল্যাবটিকে পরিত্যাক্ত করা হয়। এবং ২০১৬ সাল থেকে ল্যাবটির সঙ্গে পৃথিবীর কোন যোগাযোগ নেই। তিয়ানগন শব্দের অর্থ ‘স্বর্গের প্রাসাদ’।