এবার ভারতের তোপের মুখে পড়েছে ফেসবুক। যুক্তরাজ্যভিত্তিক কেম্ব্রিজ অ্যানালেটিকা বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের ভোটারদের কোন তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা তা জানতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠিয়েছে দেশটির সরকার।
এর আগে কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকাকেও একই রকমের নোটিশ পাঠিয়েছিল ভারত সরকার। শনিবারের মধ্যে কেম্ব্রিজ এবং ৭ এপ্রিলের মধ্যে ফেসবুককে এই নোটিশের জবাব দিতে হবে।
এদিকে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ২০০৩ সাল থেকে ভারতের সবকটি নির্বাচনে সরাসরি যুক্ত ছিল ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার মূল প্রতিষ্ঠান এসসিএল। ভারতের ২০০৯ এবং ২০১০ এর মধ্যকার ঘটে যাওয়া ‘অনার কিলিং’ এবং সামাজিক পরিবর্তনেও ছিল এই প্রতিষ্ঠানের হাত।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার প্রাক্তন কর্মী এবং তথ্যফাঁসকারী ক্রিস্টোফার ওয়াইলি ব্রিটিশ পার্লামেন্টারির কাছে দেওয়া একটি জবানবন্দিতে এই কথা জানান। এছাড়াও তার জমা করা কাগজপত্রে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ভারতীয় নির্বাচনের সঙ্গে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার মূল প্রতিষ্ঠানের এক নিবিড় সংযোগ রয়েছে।
২০১৩ এবং ২০১৪ সালের এই কাগজপত্রে দেখা যায়, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ভোটারদের মনোভাব পরিবতনের প্রচারণা চালিয়েছিল এসসিএল। এছাড়াও পাঞ্জাব, হরিয়ানা প্রদেশ এবং রাজস্থানে ঘটে যাওয়া ‘অনার কিলিং’ এর ‘সাফল্যের’ কথাও উল্লেখ রয়েছে এই তথ্য প্রমাণে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই মার্কিন নির্বাচন প্রভাবিত করতে ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চুরির তথ্য ফাঁস হয়। এতে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতে পৃথিবীর সর্বাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে।
সূত্র: সিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস