যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনকারীদের পাঁচ বছর আগ পর্যন্ত ব্যবহার করা ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ও সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য ভিসা আবেদনের সাথে জমা দিতে হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকির সৃষ্টি করতে পারে এরকম ব্যক্তির প্রবেশ ঠেকাতে এবং সতর্কতা হিসেবে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দিয়েছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দেশটির ফেডারেল রেজিস্ট্রারে এ-সংক্রান্ত একটি নথি পোস্ট করে। ওই নথি গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। নথিতে বলা হয়েছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী নন-ইমিগ্রান্ট ভিসায় যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে চান, ভিসা ফরমে তাঁদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
তবে বিষয়টি এখনও প্রস্তাবাকারে আছে। জনগণ চাইলে ফেডারেল রেজিস্ট্রারে আগামী দুই মাস পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মতামত জানাতে পারবে।
তবে, পররাষ্ট্র দপ্তরের এই প্রস্তাবটি কার্যকর হতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানেজমেন্ট এন্ড বাজেট দপ্তরের অনুমোদন লাগবে। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হলে ইমিগ্রেন্ট ও নন-ইমিগ্রেন্ট সব ধরনের ভিসা প্রার্থীকেই আবেদনের সাথে তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাঁচ বছরের তথ্য যুক্ত করতে হবে। তবে, অফিসিয়াল ও কুটনৈতিক ভিসা আবেদনকারীদের এই নিয়মের আওতাধীন আসতে হবে না।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই বলে এসেছেন, সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ কোনো ব্যক্তি যেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য ভিসা আবেদনকারীদের কঠিন যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্যক্রম ক্ষতিয়ে দেখার এই প্রস্তাব তার সেই বক্তব্যেরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
এ নিয়ে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের ন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রজেক্টের পরিচালক হিনা শামসী এক বিবৃতিতে জানান, মানুষ অনলাইনে কী বলছে এটা সরকারি কর্মকর্তারা কীভাবে নিচ্ছে, সেটা নিয়ে মানুষকে এখন সারাক্ষণই সতর্ক থাকতে হবে।