লুসি হেলেন ফ্রান্সেস হল্ট বাংলাদেশের মাটিতে সমাহিত হওয়ারই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মানবতার সেবক এই ব্রিটিশ নারীর সে ইচ্ছা পূরণে সব ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা। দুই বোনের ঐকান্তিক চেষ্টায় এবার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেলেন লুসি হেলেন।
শনিবার বিকেলে গণভবনে দুই বোন নাগরিকত্বের সনদ লুসি হেলেন ফ্রান্সেস হল্টের হাতে তুলে দেন। এখন তার মৃত্যুতে বাংলাদেশেই সমাহিত করতে আর কোনও বাধা থাকবে না। সনদ তুলে দেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ লুসি হেলেন ফ্রান্সেস হল্টকে দ্বৈত নাগরিকত্ব দিলো। এতে অক্ষুন্ন থেকে গেলো তার ব্রিটিশ নাগরিকত্বও।
গত ২২ মার্চ সরকার এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে তিনি একজন বাংলাদেশের নাগরিকের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লুসি হেলেন ফ্রান্সেস হল্টকে ১৫ বছর মেয়াদি ভিসা সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন।