মালদ্বীপ সরকারের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। এবার বলা হচ্ছে ইউরোপিয়ান বিমানগুলো এই দ্বীপ দেশটিতে আর অবতরণ করবে না। শ্রীলংকায় জামার্নির রাষ্ট্রদূত টুইট করে এ কথাটিই জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত জোয়ার্ন রহদে টুইটে লিখেছেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, ইউরোপের বড় বড় বিমান সংস্থাগুলোর গ্রীস্মকালীন ফ্লাইটগুলো বাতিল করে দিয়েছে।’
রহদে টুইটে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ইয়ামিন সরকার দেশটি থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিলেও গণতান্ত্রিক অধিকার এখনো পর্দার আড়ালেই রয়ে গেছে। রাজনৈতিক কারণে অনেক সংসদ সদস্যই এখনো জেলে রয়েছেন। পর্যটকের অভাবে দেশটির অর্থনীতি যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তেমনি ভোগান্তিও বাড়ছে জনগণের।
রহদে আরও লিখেছেন, মালদ্বীপের স্থিতিশীলতা তখনই ফিরে আসবে যখন দেশটি আবার গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসবে। গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হওয়ার কারণে দেশটির যে ‘চমৎকার’ ও ‘ইতিবাচক’ ভাবমূর্তি ছিল তা নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছে।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম বৃহস্পতিবার ৪৫ দিনের জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল ৫ ফেব্রুয়ারি। মালদ্বীপে অভিযুক্ত নয় জনকে খালাস দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রুলিং দিয়েছিল, সেটাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্যই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট রুলিংয়ে ইয়ামিন সরকারকে অভিযুক্তদের মুক্তি দিতে বলা হয়েছিল।
ইয়ামিন সরকারের এই পদক্ষেপ বিরোধী দলের প্রতিবাদের মুখে পড়লে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন পার্লামেন্টের অনুমোদন নিয়ে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৩০ দিন বাড়িয়ে দেন।
জরুরি অবস্থা জারি করেই ইয়ামিন প্রশাসন সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুম, প্রধান বিচারপতি, অপর একজন বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তারা ইয়ামিন সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।