আগামী ১৮ এপ্রিল সৌদি-আরবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সিনেমা হলে খুলে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে দেশটিতে সরকারিভাবে আরও কয়েক ডজন হল খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
সৌদি-আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল (পিআইএফ) এবং এমসি এন্টারটেইনমেন্টের মধ্যে ইতোমধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ওই চুক্তির আওতায় এমসি এন্টারটেইনমেন্ট দেশটিতে সিনেমা কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে। ওই চুক্তির আওতায় আগামী ৫ বছরে দেশটিতে অন্তত ৪০টি থিয়েটার খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি-আরবের ২৫টি শহরের মধ্যে ৫০ থেকে ১০০টি সিনেমা হলে প্রতিষ্ঠা করা হবে জানিয়েছেন পিআইএফের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা। এরই অংশ হিসেবে রিয়াদে আগামী ১৮ এপ্রিল যাত্রা করতে যাচ্ছে দেশটির প্রথম সিনেমা হলের। উল্লেখ্য, গেল বছরের ডিসেম্বরে সৌদি প্রিন্স মুহাম্মদ সালমান ঘোষণা করেন, সৌদিতে সিনেমার উপর ৩৫ বছর ধরে চলা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বছরের শুরুতেই নতুন করে সিনেমা হলগুলো খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সিনেমা হলগুলো বন্ধের পেছনে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবকে দায়ী করেন প্রিন্স সালমান। তিনি বলেন, আয়তুল্লাহ আল খোমেনির নেতৃত্বে ১৯৭৯ মালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লব ঘটলে, সেই বিপ্লবের ঢেউ এসে আঁছড়ে পরে সৌদি রাজত্বে। এর পর থেকেই সৌদি আরবে সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে সিনেমা হল খোলা ও নারীদের হিজাব পরার স্বাধীনতা দেওয়ায় অনেকেই প্রিন্স সালমানকে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের দাবার গুটি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।