বিজ্ঞানের সকল আবিষ্কারই আশীর্বাদ হয়ে ওঠে না। কিছু কিছু আবিষ্কার অভিশাপও বয়ে আনে। আর নিজের আবিষ্কারের ক্ষতিকর প্রভাব দেখে দুঃখিত এবং অনুতপ্তও হন অনেক বিজ্ঞানী।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল ছিলেন ডিনামাইট নামক বিস্ফোরকের আবিষ্কারক। এটি তিনি আবিষ্কার করেছিলেন পাথর ভাঙ্গার জন্য। কিন্তু তার জীবদ্দাশাতেই হত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞের কাজে ডিনামাইটের ব্যবহার তার মূল উদ্দেশ্যকে ছাড়িয়ে যায়। অনুতপ্ত আলফ্রেড নোবেল প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে দান করে যান তার অধিকাংশ সম্পত্তি। যা থেকে মানব কল্যাণে অবদানের জন্য দেওয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ নোবেল পুরস্কার।
একে-৪৭ রাইফেলের নির্মাতা মিখাইল কালাশনিকভ। সন্ত্রাসী এবং একনায়কদের দ্বারা একে-৪৭ এর যথেচ্ছ ব্যবহার তাকেও করেছিল অনুতপ্ত। মৃত্যুর আগে চার্চগুলোতে চিঠি পাঠিয়ে তিনি প্রশ্ন করতেন, একে-৪৭ দ্বারা সবগুলো মৃত্যুর জন্য তিনিও কি দায়ী?
সন্ত্রাসীদেরকে সাময়িকভাবে অকেজো করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পেপার স্প্রে আবিষ্কার করেছিলেন কামরান লোমান। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা নিরীহ জনতার ওপর এর যথেচ্ছ ব্যবহার লোমানকে অনুতপ্ত করে। তার এ আবিষ্কারটিকে ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করেন তিনি।
শুধু অনুতপ্ত না হয়ে বিজ্ঞানীরা কি পারেন না সক্রিয় প্রতিবাদ এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে যেন তাদের আবিষ্কার শুধু কল্যাণমুখী ব্যবহারই নিশ্চিত হয়।