বিরল প্রজাতির দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগে বলিউড তারকা সালমান খানের পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে। তিনি বর্তমানে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। তার উপর চলচ্চিত্র শিল্পের ৬০০ কোটি রুপি বিনিয়োগ আছে। এই রায়ের কারণে অন্তত তিনটি ছবি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তার রেস-৩ ছবিটি আগামী ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
সালমান খানের আইনজীবি বৃহস্পতিবারই যোধপুর দায়রা জজ আদালতে তার জামিনের আবেদন করেছেন্। সেই আবেদনের রায় দেওয়ার কথা ছিল শুক্রবার। এদিন সালমানকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তবে ৫১ পৃষ্ঠার জামিন আবেদন নিয়ে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন সালমানের আইনজীবি।
এদিকে, সালমানের সাজায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলিউডে। খ্যাতিমান অভিনেত্রী জয়া বচ্চন, পরিচালক সুভাষ ঘাই এবং বরুণ ধাওয়ান খোলাখুলিভাবেই এই রায়ের বিরোধিতা করে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। অভিনেত্রী প্রীতি জিন্তা শুক্রবারই যোধপুর যান। বরুণ ধাওয়ান টুইট করে বলেছেন, ‘আমি যতদূর জানি সালমান এবং তার পরিবার আইনের প্রতি খুব শ্রদ্ধাশীল। সালমান খানকেও আমি চিনি। তিনি একজন প্রকৃত মানুষ। আমার বিশ্বাস তিনি বেরিয়ে আসবেন।’
১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসে সাইফ আলী খান, সোনালি বেন্দ্রে, টাবু, নীলম কোঠারি ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির কাজে গিয়েছিলেন যোধপুর। সারাদিন শুটিয়ে থাকার পর বিকেলের দিকে তারা শিকারে যান। মামলার বাদি বিষ্ণু সম্প্রদায়ের গ্রামবাসীরা বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণার পর পর আনন্দে ফেটে পড়ে। আদালত বলেছে সালমানই হরিণ দুটি শিকার করেছেন। যদিও সালমান বলেছেন, হরিণ দুটি প্রাকৃতিক কারণেই মারা গেছে। উচ্চাদালত বলেছিল, মৃত হরিণের গায়ে কোনো গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
বিষ্ণুরা বলেছে, শিকারের পর তারা পলায়নরত জিপসি বাইকের সালমানকে তাড়া করেছিলেন। সালমান খানের আইনজীবি মহেশ বোরা বলেছেন, ‘আমরা আদালতে জামিনের আবেদন করেছি এই জন্য যে, প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে যাকে আনা হয়েছে তিনি বিশ্বস্ত নন।’
এই জেলে আর কোনো খ্যাতিমান কয়েদি নেই। স্বঘোষিত ধর্ষক ধর্মগুরু আসারাম বাপু রয়েছেন এই জেলে। এজন্য জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।