সিরিয়ার পূর্ব ঘৌটায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সবশেষ শহর ডৌমায় সন্দেহভাজন গ্যাস হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকারী ও হাসপাতাল সূত্রগুলো জানাচ্ছে, এ ঘটনায় নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ওই হামলার কিছু ছবি প্রকাশ করেছে স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী গ্রুপ দ্য হোয়াইট হেলমেট। সিরিয়ান বাহিনীর চালানো ওই হামলায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে দাবি করে গ্রুপটির।
দেশটির বিদ্রোহী গ্রুপ এ ঘটনায় সরকারি বাহিনীকে দোষারোপ করে বলেছে, বেসামরিক লোককে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
তবে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বিদ্রোহীদের এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সরকারি বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো রাসায়নিক হামলা চালানো হয়নি। বরং পূর্ব গৌতার দৌমায় বিদ্রোহীরা পতনের মুখে এসব মিথ্যা খবর প্রচার করছে। সিরিয়া সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের এ অভিযোগকে বর্ণনা করেছে ‘অতিরঞ্জিত’ হিসেবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আর যদি সেখানে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে রাশিয়াকেও এর দায় নিতে হবে। কারণ তারা আসাদ বাহিনীর সঙ্গে মিলে সিরিয়ায় লড়াই করছে।
তারা বলছে, নিজেদের লোকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার আসাদ সরকারের জন্য নতুন নয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তাদের বিশ্বাস ওই হামলায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে তারা।
বিরোধীপন্থী ঘৌটা মিডিয়া সেন্টার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, রাসায়নিক হামলায় দমবন্ধ হয়ে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও প্রায় এক হাজার ব্যক্তির ওপর সরাসরি ওই হামলার প্রভাব পড়েছে।
তারা অভিযোগ করেছে, হেলিকপ্টার থেকে সারিন নামের বিষাক্ত নার্ভ গ্যাসবোঝাই ব্যারেল বোমা ফেলা হয়।