সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীদের একাংশ। আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে দাবি মানা না হলে ১৬ এপ্রিল ‘ঢাকা চলো’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় এদিনের মতো কর্মসূচি শেষ করে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের নতুন মুখপাত্র বিপাশা চৌধুরী।
তিনি বলেন, বহিরাগতরা সশস্ত্র অবস্থান নেয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মসূচি আজকের মতো শেষ করা হলো। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ফের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে লাগাতার ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করা হবে।
এক মাসের আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত না মানা শিক্ষার্থীদের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বিপাশা চৌধুরী আরো বলেন, আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে দাবি মানা না হলে ১৬ তারিখ ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে চাকরিতে বর্তমান কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে আন্দোলন ৭ মে পর্যন্ত স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসা কমিটি।
বিকালে সচিবালয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের বৈঠক এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা জানান।
কিন্তু ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সরকারের অস্পষ্ট আশ্বাসে’ আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। আগের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
রামদা, রড, লোহার পাইপ ও হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে মল চত্বরে অবস্থান নিতে শুরু করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। হামলার আশঙ্কায় ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এতে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার দাবিতে রোববার দুপুরে গণপদযাত্রা শেষে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ৮টার দিকে তাদের ওপর পুলিশ চড়াও হলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সোমবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী আহত হন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আটক করা হয়।