দিল্লী এবং হরিয়ানায় অবস্থিত রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরগুলোর ব্যাপারে তথ্য দিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দেয় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
দিল্লী এবং হরিয়ানার মেওয়াট ও ফরিদাবাদের রোহিঙ্গা শিবিরের তথ্য জানতে চেয়েছে আদালত। একই সাথে শিবিরগুলোতে কি পরিমাণ মানবিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। তেন্দ্র সরকারকে ৪ মাসের মধ্যে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ৯ মে আবারও শুনানীর দিন নির্ধারন করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
অভিযোগ রয়েছে ভারতের শিবিরগুলোতে বসবাস করা রোহিঙ্গারা নিরাপদ শৌচাগার, বিশুদ্ধ খাবার পানির মতো মৌলিক সুবিধাগুলো পাননা। শিবিরে বসবাসকারিরা বড় পরিসরে ডায়রিয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অব্যাহত নির্যাতনে প্রতিবেশী অনেক দেশের মতো রোহিঙ্গা মুসলিমরা ভারতেও আশ্রয় নেয়। ভারতের বেশীরভাগ রোহিঙ্গা শিবির জম্মু, হায়দ্রাবাদ, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং দিল্লীতে অবস্থিত।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, গত আগস্ট থেকে চলা সহিংসতার কারণে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। যেখানে আগে থেকেই প্রায় ৩ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আগে থেকেই বসবাস করছিল। বাংলাদেশ এই বিপুল পরিমান রোহিঙ্গার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশটির রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে এখন পর্যন্ত বড় রকমের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।