দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম জাপানের নৌসেনা ইউনিট যাত্রা শুরু করার প্রেক্ষিতে উদ্বিগ্ন চীন। মেরিন সেনারা মূলত উভচর যোদ্ধা যারা উপকূলীয় অঞ্চলে লড়াই করতে সক্ষম।
শনিবার জাপানের কিয়োশু দ্বীপের সামরিক ঘাঁটিতে এই ইউনিটের ১৫০০ সেনা সদস্য ইউনিটটির উদ্বোধন উপলক্ষে এক প্রদর্শনী মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন। সেসময় তারা শত্রুর দখল জাপানি দ্বীপ পুনর্দখলের প্রক্রিয়া উপস্থিত জনতাকে প্রদর্শন করেন।
সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র অধিদপ্তরের মুখপাত্র গেং শুয়াং জানিয়েছেন ‘ঐতিহাসিক’ কারণেই জাপানের সামরিক পদক্ষেপগুলিকে তার এশিয়ান প্রতিবেশী দেশগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ।
চীনের রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন ইংরেজি ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস এক সম্পাদকীয়তে লিখেছে যে, নিজেদের দ্বীপপুঞ্জের রক্ষার নামে গঠিত এই সেনাবাহিনীকে আক্রমণের কাজেও ব্যবহার করা হতে পারে এবং আসলে নিরাপত্তার নামে জাপান ‘পুনরায় অস্ত্রসজ্জা’ শুরু করেছে এবং সামরিকায়নের পথে হাঁটছে। এশিয়ার দেশগুলোর জাপানের এই আগ্রাসী সামরিক উত্থানের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিৎ বলেই গ্লোবাল টাইমসের ঐ সম্পাদকীয়তে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্লোবাল টাইমস চীনের সরকারি নীতির রাষ্ট্রীয় মুখপাত্র হিসেবেই কাজ করে এবং দেশটির নীতি- নির্ধারণে সহায়ক বুদ্ধিজীবী এবং কর্মকর্তারা এই পত্রিকায় কলাম লিখে থাকেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি মেরিন এবং স্থল সেনারা চীনে ব্যাপক গনহত্যা সংগঠিত করে। জাপানের সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ চীনা জাতিয়তাবাদীদের কাছে তাই কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতই কাজ করবে।