সিরিয়ার যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র জোট কর্তৃক সম্ভাব্য হামলা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। বৃহস্পতিবার এরদোগান পুতিনের সঙ্গে আলাপ করেন বলে প্রেসিডেন্ট সূত্রের বরাত দিয়ে খবর দিয়েছে আনাদলু এজেন্সি।
খবরে বলা হয়, সম্ভাব্য হামলা নিয়ে টেলিফোন আলাপে এরদোগান এবং পুতিন সব রকম যোগাযোগ রক্ষা ও নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য একমত হয়েছেন।
সিরীয় সংকট নিয়ে বুধবার রাতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোনে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে এরদোগান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন। হোয়াইট হাউস পরে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
হোয়াইট হাউস এক ব্রিফিংয়ে জানায়, দুই নেতা সিরিয়ার চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। পরিস্থিতি নিয়ে তারা আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার ব্যাপারে রাজি হয়েছেন।
সিরিয়ায় ধেয়ে আসছে ক্ষেপণাস্ত্র, সেখানে হামলা হবে, আর এর জন্য রাশিয়াকে প্রস্তুত থাকতে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার বিকালে এক টুইটে রাশিয়াকে এমন হুশিয়ারি দেন ট্রাম্প। খবর বিবিসির। টুইট বার্তায় ট্রাম্প জানায়, সিরিয়ার দিকে যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া। তাহলে এবার প্রস্তুত থাক। সিরিয়ার দিকে মিসাইল ধেয়ে আসছে। গ্যাস দিয়ে মানুষ হত্যা করা ‘জন্তুর’ সঙ্গে বন্ধুত্ব করা উচিত হয়নি তোমার।’
এদিকে মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে লেবাননে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্সান্ডার জাসিপকিন বলেন, ‘সিরিয়াতে কোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র তবে আমরা তা ভূপাতিত করব। এমনকি যেখান থেকে হামলা চালানো হয়েছে সেখানেও আমরা যথাযথ জবাব দেব।’
মার্চ মাসে রুশ সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমোভ বলেছিলেন, সিরিয়ার দিকে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করবেন তারা। যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় হামলা চালালে তার দেশও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।
অ্যালেক্সান্ডার জাসিপকিন দাবি করেন, সিরিয়ায় রাশিয়া অনেক উন্নতি করেছে। বিদ্রোহীদের দখল থেকে প্রায় স্বাধীন হওয়ার পথে রয়েছে দেশটি।