যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া ও চীন। আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হাতিয়ার তৈরি করছে তারা। তবে জলে বা স্থলে নয়, অন্তরীক্ষে। যে সব মার্কিন উপগ্রহ ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে রক্ষা করে ও যার সাহায্যে সেনার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়, সেগুলি আটকানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই দুই দেশ।
পেন্টাগনের তরফে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মস্কো ও বেজিং আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই কাজ শেষ করবে। মহাকাশে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্যই এই “ধ্বংসাত্মক” অস্ত্র তৈরি করছে রাশিয়া ও চীন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দুই সদস্য জানিয়েছেন, মিলিটারি প্রভাব থামাতে এই অ্যান্টি স্যাটেলাই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। রিপোর্টে এমন তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে। এফবিআই ও সিআইএ ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
এই অ্যান্টি স্যাটেলাইট অস্ত্রগুলিতে থাকছে ব্যালেস্টিক মিসাইল। স্পেশ বেসড সিস্টেম যাতে ধ্বংস করা যায়, সেভাবেই এটি ডিজাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে কাউন্টারস্পেশ টেকনোলজি রয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, যদি ভবিষ্যতে রাশিয়ার বা চীনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাহলে এই স্যাটেলাইটগুলি আমেরিকাকে সামরিক, বেসামরিক বা বাণিজ্যিক সুবিধা দেওয়া থেকে আটকাবে।
আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সম্পর্ক ইদানিং ভালো যাচ্ছে না। কিছুদিন আগেই হুমকি এসেছে ক্রেমলিন থেকে। রাশিয়া জানিয়েছে, সিরিয়ার মাটিতে কোনওরকম হামলা হলেই মার্কিন সরকার বুঝবে ডেঞ্জারাস পরিস্থিতি কী হতে পারে। সেক্ষেত্রে সমঝে চলুন ট্রাম্প। কারণ তার একটি নির্দেশে রুশ-মার্কিন সংঘর্ষ বেধে যেতে এক মুহূর্ত দেরি হবে না।
রুশ সংবাদ সংস্থা ‘তাস’ জানাচ্ছে, সিরিয়ার মাটিতে যে কোনওরকম আমেরিকান হামলা রুখতে প্রস্তুত নৌবাহিনী। ভূমধ্যসাগরে বিশেষ অবস্থান নিয়েছে তারা।