ইস্তাম্বুলের মসজিদগুলোয় সম্প্রতি এক নতুন প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করছেন নারী নামাজিরা। সেখানে নারী ও পুরুষ নামাজিদের কঠোরভাবে আলাদা রাখা হয়। আর একেই চ্যালেঞ্জ করেছেন তারা।
সেখানকার এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী জয়নব বলেন, আপনি যেখানে নামাজ পড়ছেন সেখান থেকে ইমাম বা অন্য নামাজিদের যদি দেখা না যায়, তাহলে অন্যদের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়।
নারীদের জন্য নামাজের জায়গাটা প্রায়ই হয় ওপর তলায়, পেছনের দিকে। মার্চ মাসে একজন নারী এ নিয়ম ভঙ্গ করলে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে 'মসজিদে নারীরা' নামে এই প্রচারাভিযান শুরু হয়। প্রায় ৪০ জন নারী ওই মসজিদে যান ও তারা প্রধান হলেই নামাজ পড়েন।
তুরস্কের সংবাদপত্রে কলাম লেখেন হিলাল কাপলান। নারীদের পুরুষের সঙ্গে নামাজ পড়ার বিরুদ্ধে যারা আপত্তি তুলেছিলেন তিনি তাদের একজন। তিনি বলেন, নারীদের বোঝা উচিত তারা সবাইকে দেখতে পারে, কিন্তু তাদের যেন কেউ দেখতে না পায়।
আর 'মসজিদে নারীরা' নামে প্রচারাভিযানে অংশ নেওয়া একজন নারী বলেন, আমরা পুরুষের সঙ্গে লেখাপড়া করছি, কাজ করছি, কিন্তু মসজিদে আমাদের পেছনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমি একজন পুরুষ বন্ধুর পাশে বসে পড়াশুনা করতে পারি। কিন্তু মসজিদে তা হচ্ছে না। একেক সময় আমি নামাজের জায়গা পাই না। মসজিদের পরিবেশ উপভোগ করতে পারি না। ফলে পুরুষরা যেমন এক সঙ্গে নামাজ পড়ার চেতনাকে উপলব্ধি করতে পারে, আমরা তা পারি না। তবে আমি বিশ্বাস করি, একটা সময় লোকে আমাদের ইতিবাচকভাবে দেখতে সক্ষম হবে। এসব আপত্তি তখন কমে যাবে।