হলিউডের ব্লকবাস্টার ‘ব্ল্যাক প্যানথার’ সিনেমা দিয়ে সৌদি আরবে প্রথম সিনেমা হলের যাত্রা শুরু হল।
বুধবার সন্ধ্যায় ছবি দেখতে থিয়েটারে হাজির হন নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সৌদি নাগরিক। এর মধ্য দিয়ে রক্ষণশীল সৌদিতে কয়েক দশকের মধ্যে প্রথম প্রেক্ষাগৃহ উন্মুক্ত করা হল।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রক্ষণশীল সৌদি আরবে বিভিন্ন ধরনের দৃশ্যমান সামাজিক পরিবর্তন আসছে। রক্ষণশীল সৌদি আরবের সামাজিক পরিবর্তন ও উত্তরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
গত ডিসেম্বরে সৌদি আরবে অত্যাধুনিক সিনেমা হল ও থিয়েটার গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়া হয়।এ ছাড়া সৌদি নারীদের গাড়ি চালনা এবং মাঠে বসে খেলা দেখার অনুমতি দেয়া হয়।
সৌদিবাসীরা এখন কনসার্ট ও ফ্যাশন শোতে যেতে পারবেন। এ ছাড়া প্যাকেটভর্তি পপকর্ন নিয়ে উপভোগ করতে পারবেন সিনেমা।
‘ব্ল্যাক প্যানথার’ সিনেমার প্রিমিয়ার শোতে আসা দর্শক রাহাফ আলহেন্দি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘এটি একটি নতুন যুগের সূচনা করল। আমাদের সামাজিক অবস্থা ও মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে, অগ্রগতি ঘটছে। আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা শিখছি।’
সৌদির পূর্বপ্রদেশ থেকে আসা আরেক দর্শক সামের আলসৌরানি বলেন, ‘এই প্রথম আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমরা সত্যিই আধুনিক হচ্ছি। যুবরাজ দেশকে আধুনিক করার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করছেন।’
এদিকে সিনেমা প্রদর্শনকারী এএমসি থিয়েটারের সিইও অ্যারন অ্যারন জানান, ‘এটি সৌদি আরবের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। প্রায় ৩৭ বছর পর আপনারা একসাথে বড় পর্দায় সিনেমা দেখতে পারছেন যেভাবে থিয়েটারে সবাই দেখে।’
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক এএমসি এন্টারটেইনমেন্ট বিশ্বের বৃহত্তম মুভি থিয়েটার অপারেটরদের একজন।
দুই সপ্তাহ আগে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদের সঙ্গে তারা সৌদিকে প্রথম সিনেমা পরিচালনা করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এছাড়া সৌদির রাজধানী রিয়াদে শিগশিগই একটি কনসার্ট হল চালু করবে এএমসি ও এর স্থানীয় অংশীদাররা।
এএমসি কর্তৃপক্ষ জানায়, সৌদি আরবে ১০০টির মতো অত্যাধুনিক থিয়েটার নির্মাণের অংশ হিসেবে রিয়াদে নতুন এই থিয়েটারটি উদ্বোধন হয়েছে।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদির ২৫টি শহরে নতুন সিনেমা হল গড়ে তোলা হবে।