সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিমান হামলা চালিয়েছে তিন দেশ। শনিবার ভোররাতে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন যৌথভাবে প্রায় ১০৩টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় সিরিয়ায়।
তবে রাসায়নিক হামলার বিষয়ে কোনো তদন্ত করা হয়নি বা সিরিয়ার জনগণের কোনো মতামতও নেয়া হয়নি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে নিজ নিজ দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
এদিকে কেমিক্যাল অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে হামলা চালানো হয়েছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কপটতা প্রকাশ হয়ে পড়েছে।
সিরিয়ায় কেমিক্যাল হামলার অভিযোগ তুলে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরব হলেও ইরানের কেমিক্যাল হামলার সময় গোটা যুক্তরাষ্ট্র চুপ ছিল বলে আলজাজিরা বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইরানের বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় ট্রাম্পের হামলা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিচারিতা প্রকাশ পেয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কপটতা ফুটে উঠেছে।
ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে ইরাকি বাহিনী বহুবার ইরানে কেমিক্যাল হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় কেমিক্যাল হামলায় ইরানের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার সেনা সদস্য ও সাধারণ নাগরিক মারা যায়।
কিন্তু ইরাক যখন ইরানে হামলা চালিয়েছিল তখন যুক্তরাষ্ট্র চুপ ছিল। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নীরবে ইরাককে উৎসাহিত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজের (জিআইআইডিএস) বিশেষজ্ঞ রেজা নাসরি।
তিনি বলেন, ইরানে কেমিক্যাল হামলার অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, সিরিয়ায় কেমিক্যাল হামলার অভিযোগ এবং যে মানবতার কথা যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তা সঠিক না।'
ওয়াশিংটনকেন্দ্রিক আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক দারিয়েল কিম্বল বলেন, ইরানের উচিত তার অভিজ্ঞতা সিরিয়ায় কাজে লাগানো। যাতে সিরিয়ায়ও ইরানের মতো কেমিক্যাল হামলার ঘটনা না ঘটে।