অবশেষে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমানোর উদ্যোগ। উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে টেলিফোনে হটলাইন চালু হয়েছে। দেশ দুটির ইতিহাসে এটাই প্রথম হটলাইন চালুর ঘটনা।
আশা করা হচ্ছে, দুই দেশের দুই রাষ্ট্রনেতা বহু কাক্সিক্ষত বৈঠকের আগে টেলিফোনে সরাসরি আলাপ করবেন। তার আগে হটলাইন চালুর বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।
উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন কিছু দিনের মধ্যেই সরাসরি সংলাপে বসবেন। হটলাইন দুইচালুর পর দেশের কর্মকর্তারা টেলিফোনে পরীক্ষামূলক সংলাপও সেরেছেন। এবং সেই যোগাযোগ সফলও হয়েছে। টেলিফোন কলটি ছিল চার মিনিট ১৭ সেকেন্ডের।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যকে বলেছেন, ‘মনে হয়েছে যেন আমরা পাশের বাড়ির প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বললাম।’ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ভবন ব্লু হাউস এবং উত্তর কোরিয়ার স্টেট অ্যাফেয়ার্স কমিশনের মধ্যে এ হটলাইন চালু হয়েছে। এ কমিশনের প্রধান প্রেসিডেন্ট কিম।
এর আগে ব্লু হাউস থেকে বলা হয়েছিল, সরাসরি সংলাপের আগে কিমের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন প্রেসিডেন্ট মুন। তার পরই হটলাইন চালুর খবর পাওয়া গেল। তবে দুই নেতা ঠিক কখন টেলিফোনে আলাপ করবেন, তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
এর আগে ২০০০ ও ২০০৭ সালে আন্তঃকোরীয় সংলাপ হয়েছিল। ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর থেকেই বস্তুত যুদ্ধাবস্থাতেই রয়েছে দেশ দুটি।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন কিম জং উন। এমনটা যদি হয়, তা হলে সেটি হবে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে প্রথম কোনো বৈঠক। তবে এখনো এ বৈঠক নিয়ে সন্দেহ আছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ট্রাম্প বলেন যদি আলোচনা ফলপ্রসূ না হয়, তবে বৈঠক চলাকালীন সময়ই তিনি বেরিয়ে যাবেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন অবশ্য বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখার বিষয়ে কোনোরকম শর্ত ছাড়াই ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে রাজি আছেন কিম।