জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি মানববন্ধন করছে।
আজ বুধবার সকাল ১১টা থেকে মানববন্ধন করার ঘোষণা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গ–সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। তাই ঘোষিত সময়ের আগেই মানববন্ধন শুরু হয়ে যায়।
বিএনপির এই মানববন্ধন যেখানে হয় তার আশপাশে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। বিএনপির কার্যালয়ের সামনের রাস্তার অর্ধেকটা জুড়ে দাঁড়িয়ে যান দলটির নেতাকর্মীরা। বাকি সড়ক দিয়ে যানবাহন চলে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা আহমদ আজম খান প্রমুখ।
বিএনপির এ কর্মসূচি ঘিরে আজ সকাল থেকে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন ছাড়াও বিদেশি কূটনৈতিক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, পেশাজীবী, আইনজীবী, ২০ দলীয় জোটসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে তিনি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর থেকেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে আছেন।
মামলার অন্য আসামি মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন।