ধর্মগুরু রাম রহিমের পর ভারতে আরেক ধর্ষক ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে রাজস্থানে নিজের আশ্রমে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত এক অস্থায়ী আদালতে তার বিরুদ্ধে এ সাজা দেন বিচারক মধুসূদন শর্মা।
আরও দু’টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া আসারাম প্রতিটিতে ২০ বছর করে কারাদণ্ড পেয়েছে। এনডিটিভি জানায়, আসারামের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও দিল্লিতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ভারতজুড়ে আসারামের প্রায় ৪০০ আশ্রম ও বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে। প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার একটা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল আসারাম। গুজরাটে ওই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে আরও একটি ধর্ষণ মামলার বিচার চলছে।
বিচারের রায়ে ৭৭ বছর বয়সী বাপু আসারামকে ধর্ষণ, মানব পাচার এবং শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে। তার সঙ্গে যে চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তাদের মধ্যে দু’জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। অপর দু’জনকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে যোধপুরের কাছে নিজের আশ্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিলেন আসারাম। ১৯৬৩ সালে. জীবনের শুরুতে আসারাম রিকশা চালাত। তার জীবনের বেশ কিছুটা সময় কেটেছে আজমিরে। তখন নাম ছিল আসুমাল সিন্ধি।
আজমির শরিফের দরগায় পুণ্যার্থীদের রিকশা করে পৌঁছে দিত সে। দুই বছর এভাবেই কোনোরকমে দিন কাটিয়েছে আসারাম। এখনও বহু পুরনো রিকশাচালক মনে রেখেছেন আসারামকে। তবে তা সাধারণ রিকশাচালক হিসেবে। ধর্মগুরু হিসেবে নয়।