সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছে পাকিস্তানি নারী কূটনীতিক। ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের ঘোষিত ভিশন-২০৩০ কে সামনে রেখে দেশটিতে ঐতিহাসিক কয়েকটি পরিবর্তনের মাঝে এটিও অন্যতম বলে মনে করা হচ্ছে।
সৌদি আরবের ইতিহাসে নারী কূটনীতিককে অনুমোদন দেশটিতে এটাই প্রথম। পাকিস্তান ছাড়া জর্ডান ও আরও কিছু দেশ সৌদি আরবে নারী কূটনীতিক নিয়োগ দিয়েছে বলে আল আরাবিয়া জানিয়েছে।
আল আরাবিয়ার সূত্রে, ফৌজিয়া ফায়াজ নামের ওই নারী কূটনীতিক জিদ্দায় অবস্থিত পাকিস্তানি কনস্যুলেটে গত একমাস যাবত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রহিমইয়ারখানের বাসিন্দা।
তিনি ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স করার পর পাকিস্তানের সিভিল সোর্সে কাজ শুরু করেন। পবিত্র ভূমিতে কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ফৌজিয়া ফাইয়াজ নারীদের জন্য এটাকে সম্মানজনক বলে মনে করছেন।
ফৌজিয়া ফাইয়াজ এর আগেও সৌদি আরবে তিনবার বেসরকারিভাবে সফর করেন। সৌদি আরবে নারীদের স্বাধীনতা ও অধিকার বিষয়ে এক বৃটিশ সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, এখানে প্রতিটি বিষয়ে অনেক পরিবর্তন আসছে। তবে এগুলো সবই প্রাথমিক পর্যায়ে।
এসব বিষয়ে কয়েক যোগ অতিবাহিত হওয়ার পরই উপযুক্ত মন্তব্য করা যাবে। তবে জুন মাসে নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স অনুমোদন পাওয়ার পর সৌদি আরবের সামাজিক চেহারা পাল্টে যাবে বলেও তিনি মনে করেন।